শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৩ সালটা শাহরুখ খানের ছিল। এক বছরে পর পর তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘ডাঙ্কি’— বক্স অফিস বাণিজ্যের নিরিখে একে-অপরকে পাল্লা দিয়েছে তিনটি ছবিই। ৫৮-এর শাহরুখকে পর্দায় দেখে চোখের পাতা ফেলতে পারেননি দর্শক। তিনটি ভিন্ন স্বাদের ছবিতেই শাহরুখের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে সমালোচক মহলে। সম্প্রতি ‘জওয়ান’-এ অভিনয়ের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন শাহরুখ। কিন্তু পুরস্কার হাতে নিয়েও হতাশা ঝরে পড়ল ‘কিং খান’-এর গলায়। বহু বছর অপেক্ষার পর নাকি পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠার সুযোগ পেলেন তিনি।
বলিউডে দেখতে দেখতে কয়েক দশক হয়ে গেল শাহরুখের। টেলিভিশন থেকেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন শাহরুখ। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় শাহরুখের প্রথম ছবি ‘দিওয়ানা’। তার পর একে একে ‘বাজিগর’, ‘ডর’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’— দর্শকের মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন শাহরুখ। অভিনেতা বার বার বলেছেন অনুরাগীদের এই উচ্ছ্বাস, উজাড় করা ভালবাসা তাঁর জীবনের একমাত্র সম্পদ। তাঁর জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি এগুলিই।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, দর্শকের ভালবাসা, প্রশংসা তাঁর অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। মানুষের ভালবাসা তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে এসেছে। তবে স্বীকৃতি পেতে ভাল লাগে সকলেরই। পুরস্কার যে শাহরুখ পাননি, তা নয়। কিন্তু তা সবই প্রথম দিকে। বহু বছর হয়ে গেল সেরা অভিনেতার কোনও পুরস্কার ‘মন্নত’-এ ঢোকেনি। তবে ‘জওয়ান’-এর জন্য পুরস্কার পেয়ে খানিক আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন শাহরুখ। আবেগ জড়ানো গলায় শাহরুখ বলেন, ‘‘বহু দিন হয়ে গেলে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাইনি। একটা সময় মনে হয়েছিল বোধহয় আর কোনও দিন পাব না। তবে ‘জওয়ান’-এর হাত ধরে আবার পুরস্কার গ্রহণ করলাম। অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। কথায় প্রকাশ করে বোঝাতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy