মেয়ে পলকের সঙ্গে শ্বেতা।
‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-র ‘প্রেরণা’। পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও অনেক ওঠাপড়ার সাক্ষী তিনি। ভালোবেসে প্রথম বিয়ে। ৯ বছর গার্হস্থ্য হিংসার জেরে বিচ্ছেদ। দ্বিতীয় বিয়ের পরিণতিও এক। তাই মেয়ে পলককে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার বার্তা দিলেন শ্বেতা তিওয়ারি। নিজের কথাগুলি বলার জন্য বেছে নিলেন নারী দিবসকে।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন শ্বেতা। মেয়ে পলককে গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কথা বলেছেন তিনি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সারা জীবন মেয়ের পাশে থাকবেন তিনি, কিন্তু পলককে তাঁর লড়াই একাই লড়তে হবে।
তিনি বলেন, “জীবনে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। প্রত্যেকটা পদে নিজেকে অসহায় মনে হয়েছে। কিন্তু সাহস করে নিজেকে সামলেছি। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যেটা ঠিক, সেটার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছি। ও আমার জীবনের ওঠাপড়া দেখেছে। দিন দিন আরও বেশি শক্ত হয়েছে।”
শ্বেতা মনে করেন, দেশের প্রচুর নারী গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। নিজেদের উপর চলতে থাকা অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে সন্তানদের উপর কেমন প্রভাব পড়বে, সে কথা ভেবে মুখ বন্ধ করে থাকেন। “আপনি চুপ করে থাকলে, আপনার সন্তানও চুপ করে থাকতে শিখবে”, মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
শ্বেতা যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, তখন অনেকেই তার নিন্দা করেছিলেন। তবে শ্বেতার সিদ্ধান্ত তাঁর মেয়েকে সাহসী ও বুদ্ধিমতী করেছে বলে অভিমত তাঁর। শ্বেতা আশা করেন, তাঁর অভিজ্ঞতা পলককে কঠিন সময়ে পথ দেখাবে, লড়তে শেখাবে।
প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীর সঙ্গে ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শ্বেতা। ২০০০ সালে তাঁদের মেয়ের জন্ম হয়। ২০০৭ সালে শ্বেতা এবং রাজার বিচ্ছেদ হয়। এর পর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলীর সঙ্গে নতুন করে সংসার বাঁধেন অভিনেত্রী। একটি ছেলেও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু অভিনবের বিরুদ্ধেও গার্হস্থ্য সিংসার অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালে তাঁদেরও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy