তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন শঙ্কর-আহসান-লয়। একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে মুম্বই থেকে সেই কাজ সেরে ফেরার পরেও বাংলায় আলাদা করে সাড়া পাননি। জানালেন সায়নী পালিত। তবে এটা নিয়ে বাংলার গানের জগৎ সম্পর্কে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানান গায়িকা। সম্প্রতি ব্যস্ত ছিলেন সুমন মৈত্রের ছবি ‘জ়ারিয়া’র গান নিয়ে। এই ছবিতে প্রথম বার রণজয় ভট্টচার্যের সঙ্গে গান গাইলেন তিনি। সায়নী জানান, এই গানটি গেয়ে কলেজবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে তাঁর।
একটি রিয়্যালিটি শো-তে জয়ী হওয়ার পরে ঠিক হয়, শঙ্কর-আহসনের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন। তার পর একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয় সায়নীর। এক ঘণ্টার মধ্যে সেই গানের রেকর্ডিং সেরেছিলেন সায়নী। তার পরে বাংলার গানের জগৎ থেকে কেমন সাড়া ছিল? প্রশ্ন করতেই গায়িকা বলেন, “শঙ্করজিদের সঙ্গে কাজ করার পরে বাংলায় আলাদা করে কোনও বিশেষ অভ্যর্থনা পেয়েছি বলে মনে হয় না। বাংলায় যাঁরা আমার গান পছন্দ করেন, তাঁরা আগেও কাজ দিতেন, এখনও ডাকেন। মুম্বইয়ে গান করার পরেই যে কলকাতায় অনেক বড় হাইক পেয়েছিলাম, তেমন হয়নি।”
আরও পড়ুন:
সায়নী মুম্বইয়েও কাজ করেছেন। তাই দুই শহরে কাজ করে তাঁর উপলব্ধি, কলকাতায় সংখ্যায় অনেক কম কাজ হয়, সেই তুলনায় বেশি প্রতিভা রয়েছে। যার ফলে কলকাতায় বাংলা গান গেয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তুলনায় কঠিন। তবে বর্তমানে সমাজমাধ্যমের বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সায়নী। যদিও শুধুই ফলোয়ার সংখ্যা বিচার করে কাজের সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী নন সায়নী। ভাল করে শিখে গান গাওয়ার পক্ষে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ছাত্রী। নিজেও গান শেখান সায়নী। শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে তাঁর উপলব্ধি, “আমরাই শেষ প্রজন্ম, যাদের মধ্যে ধৈর্য ছিল। এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে তাড়া অনেক বেশি। আমি ১৯ বছর গান শিখেছি। তার মানে সবাইকেই অত দিন শিখতে হবে, তেমন বলছি না। তবে অন্তত ৫-৬ বছর টানা গান শিখুক তারা।”
সায়নী-রণজয়ের প্রথম ডুয়েট। ছবি- সংগৃহীত।
‘জা়রিয়া’ ছবিতে মৌলি চক্রবর্তীর কথা ও সুরে রণজয়ের সঙ্গে প্রথম বার গান গাইলেন সায়নী। রণজয় বলেন, “এই ছবিতে আমি শুধু গায়ক। সায়নীর সঙ্গে প্রথম গাইছি। ওর সঙ্গে আগেও কাজ করার কথা হয়েছিল।”