এ যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন! সোমবার ছোটপর্দায় ধারাবাহিক ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’র সম্প্রচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রেটিং চার্টে ধারাবাহিক দ্বিতীয় স্থানে। উদ্যাপনে ব্যস্ত ধারাবাহিকের প্রযোজক, নায়িকা, পরিচালক-সহ গোটা টিম?
আড়াই বছর পরে এই ধারাবাহিকের হাত ধরে স্বস্তিকা দত্তের প্রত্যাবর্তন তা হলে সার্থক? খবর, বন্ধ হতে চলেছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর আরও একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’। ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’ কি আগের ধারাবাহিকের বিকল্প হতে চলেছে?
পরিচালক এবং নায়িকাকে এই প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। স্বস্তিকা সাফ জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চান না। তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। স্বস্তিকার যুক্তি, “আগে ভাল করে দর্শকমনে গেঁথে যেতে চাই। তার পর উদ্যাপন নিয়ে ভাবব।” পাশাপাশি, তিনি ভাল ফলাফলের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিচালক সুকমল নাথকে।
আরও পড়ুন:
স্নেহাশিসের ধারাবাহিক মানেই রেটিং চার্টের প্রথম পাঁচে, এমন একটি কথা প্রচলিত টেলিপাড়ায়। নিন্দকদের কটাক্ষ, পুরোটাই নাকি ‘মনোপলি বিজনেস’! প্রযোজক কী বলেন? বৃহস্পতিবার যখন রেটিং চার্টে দ্বিতীয় স্থানে তাঁর ধারাবাহিক, তখন প্রযোজক শহরের বাইরে। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লিখেছেন, “আমি ব্যবসা করতে আসিনি। ক্রিয়েটিভ মনের মানুষ। ভাললাগা, ভালবাসা থেকে এই পেশায় আসা। এই পেশা, এই কাজকে ভীষণ ভালবাসি।”
পরিচালক সুকমলের হাত ধরে ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ হিট। হাজার পর্বের পরেও জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। এ বার তাঁর কাঁধে ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’কে সফল করে তোলার দায়িত্ব। চাপ অনুভব করছেন? শট শেষ করে সুকমল বললেন, “এই চাপ না থাকলে কাজ করার মজা থাকে না। রেটিং চার্টে ধারাবাহিকের নাম না দেখতে পেলে আমাদের মনখারাপ হয়। মনে হয়, তা হলে কাজটা বোধহয় ঠিকমতো করতে পারছি না!” “কেউ কারও বিকল্প হয় না”, এ কথাও বলতে ভোলেননি তিনি। আড়াই বছর আগের আর পরের স্বস্তিকার মধ্যে অনেক ফারাক? পরিচালক খুব সামান্য সময়ের জন্য এর আগে নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর মত, “খুব অল্প সময় ওকে পরিচালনা করেছি। তবু বলব, আট বছরে স্বস্তিকা আরও পরিণত। তারই ছাপ পড়েছে পর্দায়।”