Advertisement
১০ মে ২০২৪
Sohini Sengupta

Sohini Sengupta: মাকে ছাড়া আমার প্রথম জন্মদিন, সেই মনখারাপ কেটে গেল স্কুলে এসে: সোহিনী

আগের দিন রাতে সপ্তর্ষির আনা ব্লু বেরিজ চিজ কেকও কেটেছেন। সপ্তর্ষি জানেন সোহিনীর চিজ কেক খুব প্রিয়।

সোহিনী কাজের মধ্যেই ডুবে ছিলেন জন্মদিনে।

সোহিনী কাজের মধ্যেই ডুবে ছিলেন জন্মদিনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ১১:৩৫
Share: Save:

জন্মদিন মানেই যেন অলিখিত ছুটির দিন। কাছের মানুষদের নিয়ে একটু অন্য ভাবে কাটানো। চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর কিন্তু সে ভাবে কাটেনি সোহিনী সেনগুপ্তের। আনন্দবাজার অনলাইনকে সোহিনী এবং তাঁর স্বামী সপ্তর্ষি মৌলিক দু’জনেই জানিয়েছেন, কাজের মধ্যেই ডুবে ছিলেন জন্মদিনে! আলাদা করে উদযাপন তাই প্রায় কিছুই হয়নি।

প্রতি বছর এই বিশেষ দিন এলেই ‘পারমিতার এক দিন’-এর ‘খুকু’ আক্ষরিক অর্থেই ছোট্ট মেয়ে হয়ে যান। মা স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের আদর-আশীর্বাদ দিয়ে তাঁর জন্মদিন শুরু হয়। এ বছর সেখানে শূন্যতা। চলতি বছরেই মাকে হারিয়েছেন সোহিনী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ঘুম ভাঙতেই মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মায়ের জন্য।’’ সেই জায়গা কিছুটা হলেও পূরণ করে দিয়েছেন বাবা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। এক মাত্র মেয়েকে বই কেনার জন্য ভাউচার দিয়েছেন। রোজের মতোই ছোট পর্দার ‘পুটুপিসি’ গিয়েছিলেন ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র সেটে। এ ছাড়া, আগের দিন রাতে সপ্তর্ষির আনা ব্লু বেরিজ চিজ কেকও কেটেছেন। সপ্তর্ষি জানেন সোহিনীর চিজ কেক খুব প্রিয়। সেই মতোই চিজ কেক নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

ধারাবাহিকের শ্যুট চলতে চলতেই ছিল তাঁর জন্য অন্য চমক। ধারাবাহিকের কলাকুশলী এবং গুনগুন, বাবিন, রিজু, মিষ্টি, পটকা মিলে কেক এনে মাতিয়ে দিয়েছিলেন শ্যুটিং পাড়া। সোহিনীর কথায়, ‘‘চকোলেট কেক এনে টেবিল সাজিয়ে একাকার কাণ্ড। কলাকুশলীদের কাছ থেকে মানিপ্ল্যান্ট গাছ উপহার পেয়েছি। গুনগুন ওরফে তৃণারাও মনে হয় কিছু দেবে। ওদের ফিসফিস করতে দেখেছি!’’ বাড়িতেও তাঁর জন্য চমক অপেক্ষা করছিল। সপ্তর্ষি বৌয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নাট্য জগতের একেবারে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে। রাতে ছোট আকারে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। সপ্তর্ষি জানিয়েছেন, ‘‘পরে আমরা এই বিশেষ দিন উদযাপন করব।’’

তবে সোহিনীর সমস্ত মনখারাপ কেটে গিয়েছে পরের দিন, মঙ্গলবার স্কুলে এসে। জানালেন, বহু দিন পরে স্কুল খুলল। চেনা মুখ, চেনা স্কুলের পোশাক দেখে কী যে ভাল লাগছে! বহু দিন পরে শিক্ষক ঘরে আবার গুঞ্জন। শ্রেণিতে শ্রেণিতে চাপা কলরব। তাপমাত্রা মেপে, স্যানিটাইজ করে, প্রতিষেধকের শংসাপত্র দেখে বিদ্যালয়ে পা রাখার অনুমতি পাচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা। আবার যেন নতুন করে জীবন জাগছে, সব কিছু দেখে এমনই অনুভূতি রুদ্রপ্রসাদ-কন্যার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sohini Sengupta Saptarshi Moulik Tollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE