Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Entertainment News

জীবনে কোনও রবিবার কাজ করেননি শশী

বলিউডে তাঁর মতো ‘চার্মিং’ হিরো খুব কমই রয়েছে। বাণিজ্যিক ও আর্ট— দুই ধরনের ছবিতেই সমান ভাবে কাজ করেছেন শশী কপূর। সোমবার তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তাঁর মৃত্যুদিনে গ্যালারির পাতায় খুঁজে দেখা এক কম চেনা শশী কপূরকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৫৪
Share: Save:
০১ ১১
বলিউডে তাঁর মতো ‘চার্মিং’ হিরো খুব কমই রয়েছে। বাণিজ্যিক ও আর্ট— দুই ধরনের ছবিতেই সমান ভাবে কাজ করেছেন শশী কপূর। সোমবার তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তাঁর মৃত্যুদিনে গ্যালারির পাতায় খুঁজে দেখা এক কম চেনা শশী কপূরকে।

বলিউডে তাঁর মতো ‘চার্মিং’ হিরো খুব কমই রয়েছে। বাণিজ্যিক ও আর্ট— দুই ধরনের ছবিতেই সমান ভাবে কাজ করেছেন শশী কপূর। সোমবার তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তাঁর মৃত্যুদিনে গ্যালারির পাতায় খুঁজে দেখা এক কম চেনা শশী কপূরকে।

০২ ১১
১৯৪০ সালের শেষের দিকে প্রথম শিশু অভিনেতা হিসেবে বলিউডে হাতেখড়ি। ‘আগ’, ‘আওয়ারা’ ছবিতে শিশু শশী কপূরের অভিনয় চিরকাল মনে রাখার মতো। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে মোট চারটি ছবিতে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৯৪০ সালের শেষের দিকে প্রথম শিশু অভিনেতা হিসেবে বলিউডে হাতেখড়ি। ‘আগ’, ‘আওয়ারা’ ছবিতে শিশু শশী কপূরের অভিনয় চিরকাল মনে রাখার মতো। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে মোট চারটি ছবিতে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি।

০৩ ১১
শর্মিলা ঠাকুর, রাখি, জিনাত আমনের মতো বহু নায়িকার সঙ্গে অন-স্ক্রিন জুটি বেঁধে হিট সিনেমা করেছেন শশী কপূর। কিন্তু অফ-স্ক্রিনে তাঁর নায়িকা ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডেল। ১৯৫৬ সালে কলকাতাতেই থিয়েটারে কাজ করতে এসে দু’জনের আলাপ। সেই থেকে প্রেম।

শর্মিলা ঠাকুর, রাখি, জিনাত আমনের মতো বহু নায়িকার সঙ্গে অন-স্ক্রিন জুটি বেঁধে হিট সিনেমা করেছেন শশী কপূর। কিন্তু অফ-স্ক্রিনে তাঁর নায়িকা ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডেল। ১৯৫৬ সালে কলকাতাতেই থিয়েটারে কাজ করতে এসে দু’জনের আলাপ। সেই থেকে প্রেম।

০৪ ১১
১৯৫৮ সালে মালয়শিয়ায় একটি শো করতে গিয়েছিলেন শশী ও জেনিফার। কিন্তু কোনও কারণে সেই শো বাতিল হয়ে যায়। শো করে ফিরে তাঁরা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে ফিরতে পারছিলেন না। পরে রাজ কপূর টিকিট কেটে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। মুম্বই ফিরে বিয়ে করেছিলেন শশী ও জেনিফার। তাঁদের তিন সন্তান— কুণাল, কর্ণ এবং সঞ্জনা কপূর।

১৯৫৮ সালে মালয়শিয়ায় একটি শো করতে গিয়েছিলেন শশী ও জেনিফার। কিন্তু কোনও কারণে সেই শো বাতিল হয়ে যায়। শো করে ফিরে তাঁরা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে ফিরতে পারছিলেন না। পরে রাজ কপূর টিকিট কেটে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। মুম্বই ফিরে বিয়ে করেছিলেন শশী ও জেনিফার। তাঁদের তিন সন্তান— কুণাল, কর্ণ এবং সঞ্জনা কপূর।

০৫ ১১
জেনিফার কেন্ডেল ৫০ বছর বয়সে মারা যান। সেই সময় শশী কপূরের বয়স ছিল ৪৬ বছর। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেননি শশী।

জেনিফার কেন্ডেল ৫০ বছর বয়সে মারা যান। সেই সময় শশী কপূরের বয়স ছিল ৪৬ বছর। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেননি শশী।

০৬ ১১
রেডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে শশী কপূরের বড় ছেলে কুণাল এক বার জানিয়েছিলেন, ১৯৬০-এর শেষ দিকে শশী কপূরের হাতে কোনও কাজ ছিল না। টাকার অভাবে শশী তাঁর প্রিয় স্পোর্টস কারটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্ত্রী জেনিফারও অর্থের অভাবে বাড়ির জিনিস বিক্রি করেছিলেন।

রেডিফকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে শশী কপূরের বড় ছেলে কুণাল এক বার জানিয়েছিলেন, ১৯৬০-এর শেষ দিকে শশী কপূরের হাতে কোনও কাজ ছিল না। টাকার অভাবে শশী তাঁর প্রিয় স্পোর্টস কারটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্ত্রী জেনিফারও অর্থের অভাবে বাড়ির জিনিস বিক্রি করেছিলেন।

০৭ ১১
২০১১ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০১৪ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন বলিউডের প্রবীণ এই অভিনেতা। কিন্তু শশীর পরিবার এতে খুশি হননি। তাঁর বড় ছেলের মতে, অনেক বছর আগেই এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল শশী কপূরের। যদিও, শশী নিজে কোনও দিন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

২০১১ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০১৪ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন বলিউডের প্রবীণ এই অভিনেতা। কিন্তু শশীর পরিবার এতে খুশি হননি। তাঁর বড় ছেলের মতে, অনেক বছর আগেই এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল শশী কপূরের। যদিও, শশী নিজে কোনও দিন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

০৮ ১১
শশী কপূর এবং জেনিফার কেন্ডেলের দুই পরিবারই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে যেতে তাই বেগ পেতে হত শশীকে। রাস্তায় ভক্তদের ভিড় এড়াতে ভোর সাড়ে ছ’টায় চিড়িয়াখানায় যেতেন শশী কপূররা।

শশী কপূর এবং জেনিফার কেন্ডেলের দুই পরিবারই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে যেতে তাই বেগ পেতে হত শশীকে। রাস্তায় ভক্তদের ভিড় এড়াতে ভোর সাড়ে ছ’টায় চিড়িয়াখানায় যেতেন শশী কপূররা।

০৯ ১১
রবিবার ছিল শশী কপূরের কাছে সপ্তাহের অন্য দিনগুলির থেকে একেবারেই আলাদা। নিজের পরিবারের সঙ্গে আক্ষরিক অর্থে ছুটি কাটাতে পছন্দ করতেন শশী। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, জীবনে কোনও রবিবার কাজ করেননি শশী। এমনকী বাড়িতে কোনও অতিথিকেও রবিবার নিমন্ত্রণ জানাননি। সে দিন বাড়িতে তিন বেলা ভরপেট খাবার খেতেন তিনি।

রবিবার ছিল শশী কপূরের কাছে সপ্তাহের অন্য দিনগুলির থেকে একেবারেই আলাদা। নিজের পরিবারের সঙ্গে আক্ষরিক অর্থে ছুটি কাটাতে পছন্দ করতেন শশী। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, জীবনে কোনও রবিবার কাজ করেননি শশী। এমনকী বাড়িতে কোনও অতিথিকেও রবিবার নিমন্ত্রণ জানাননি। সে দিন বাড়িতে তিন বেলা ভরপেট খাবার খেতেন তিনি।

১০ ১১
জীবনে কোনও দিন সকাল সাড়ে সাতটার ব্রেকফাস্ট মিস করেননি অভিনেতা। যদি আগের দিন শুটিং সেরে বাড়ি ফিরতে মাঝরাতও হয়ে গিয়েছে, তা হলেও পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার ব্রেকফাস্ট টেবিলেই পাওয়া গিয়েছে তাঁকে।

জীবনে কোনও দিন সকাল সাড়ে সাতটার ব্রেকফাস্ট মিস করেননি অভিনেতা। যদি আগের দিন শুটিং সেরে বাড়ি ফিরতে মাঝরাতও হয়ে গিয়েছে, তা হলেও পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার ব্রেকফাস্ট টেবিলেই পাওয়া গিয়েছে তাঁকে।

১১ ১১
কোনও দিন নিজেকে ‘সুপারস্টার’ বলে মনে করতেন না শশী। জীবনে একটি ছবিরই পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ‘আজুবা’ ছবিটির পরিচালক ছিলেন শশী। তবে পরিচালনার দিকে তাঁর খুব একটা ছিল না। সারা জীবন নিজেকে এক জন অভিনেতা হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করতেন শশী কপূর।

কোনও দিন নিজেকে ‘সুপারস্টার’ বলে মনে করতেন না শশী। জীবনে একটি ছবিরই পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ‘আজুবা’ ছবিটির পরিচালক ছিলেন শশী। তবে পরিচালনার দিকে তাঁর খুব একটা ছিল না। সারা জীবন নিজেকে এক জন অভিনেতা হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করতেন শশী কপূর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy