Advertisement
E-Paper

বাস্তবের সানসা স্টার্ক! সন্তানদের কাছে রাখতে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ জমা সোফির

চলতি মাসে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন পপ তারকা জো জোনাস এবং অভিনেত্রী সোফি টার্নার। বিচ্ছেদের পরে দুই প্রাক্তনের মধ্যে বেড়েছে তিক্ততা। সন্তানদের নিয়েও বিস্তর টানাটানি চলছে জো ও সোফির মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৫
Sophie Turner as Sansa Stark.

‘গেম অফ থ্রোন্‌স’-এ সানসা স্টার্ক চরিত্রে সোফি টার্নার। ছবি: সংগৃহীত।

হলিউডের জনপ্রিয় সিরিজ় ‘গেম অফ থ্রোন্‌স’-এর সানসা স্টার্ক তিনি। ওই চরিত্রে অভিনয় করেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী সোফি টার্নার। সানসা চরিত্রকে অত্যন্ত সুচারু ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সোফি। সিরিজ় শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরেও সোফির মধ্যে যেন কোথাও থেকে গিয়েছেন সানসা। নিজের কাছের মানুষকে রক্ষা করতে সবটুকু করতে প্রস্তুত তিনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর কাছের মানুষ তাঁর দুই সন্তান। তাঁদের নিজের কাছে রাখতে এ বার আদালতে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে প্রমাণ জমা দিলেন সোফি।

জো জোনাস ও সোফি টার্নার।

জো জোনাস ও সোফি টার্নার। ছবি: সংগৃহীত।

চলতি মাসে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পপ তারকা জো জোনাস ও ‘গেম অফ থ্রোন্‌স’ খ্যাত অভিনেত্রী। তাঁদের এই বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তাঁদের দুই কন্যা। বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে জো ও সোফির মধ্যে। সন্তানদের ইংল্যান্ডে নিজের দেশে মানুষ করতে চান সোফি। অন্য দিকে জোয়ের দাবি, আমেরিকাতেই বড় হবে তাঁর দুই মেয়ে। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সন্তানদের আটকে রাখার অভিযোগে জোয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছিলেন সোফি। তার পর খবর পাওয়া যায়, আপাতত আমেরিকার নিউ ইয়র্ক ও তার আশপাশেই জো ও সোফির দুই সন্তানকে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। নিউ ইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড, হাডসন ভ্যালির মতো কোনও একটি জায়গায় থাকতে পারে তারা। আদালতের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন জো ও সোফিও। এই নির্দেশের কয়েক দিন পরেই আদালতে জোয়ের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ জমা দিলেন অভিনেত্রী। সেই চিঠি অনুযায়ী, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নাকি অক্সফোর্ডে বাড়ি কেনার ভাবছিলেন জো ও সোফি। জোয়ের সেই চিঠিতে লেখা, ‘‘আমি আর আমার স্ত্রী যে হেতু ইংল্যান্ডে অনেকটা সময় কাটাই, এখানেই আমাদের একটা বাড়ি থাকা উচিত। আমার বড় মেয়ে তো তার দাবিও জানিয়ে রেখেছে... বাড়িতে এই চাই, ওই চাই।’’ সোফির দাবি, ইংল্যান্ডে তাঁদের সন্তানদের বড় করার সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছিলেন জো। এমনকি, ওই চিঠি অনুযায়ী, জো নিজেও ইংল্যান্ডেই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন।

২০১৯ সালে বিয়ের পরে ২০২০ সালে প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোফি। তার পরে ২০২২ সালে প্রাক্তন দম্পতির কোলে আসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান কার কাছে থাকবে, তাই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় জো ও সোফির মধ্যে। জোয়ের বিরুদ্ধে সোফি অভিযোগ করেন, দুই মেয়ের পাসপোর্ট নাকি লুকিয়ে রেখেছেন জো, যাতে সন্তানদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে না পারেন অভিনেত্রী।

Sophie Turner Joe Jonas Game Of Thrones Jonas Brothers Sansa Stark
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy