‘মিঠাই’-এর জন্মাষ্টমী
ছোট্ট থেকে ঠাকুরভক্ত সৌমিতৃষা কুণ্ডু। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘‘পুজোর দিন মানেই মায়ের শাড়ি পরে সেজে ওঠার দিন। জন্মাষ্টমীতেও সেই রেওয়াজ বাদ যেত না।’’ ব্যতিক্রম এ বছরের জন্মাষ্টমী। এ বারে সৌমিতৃষা ওরফে জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের ‘মিঠাই’ জেলে বসে গোপালের পুজো সারছেন! নতুন জামা, ফুলের মালায় সাজিয়েছেন বিগ্রহকে। ঘণ্টা নেড়ে পঞ্চপ্রদীপ জ্বেলে আরতিও করেছেন।
প্রতি বারের মতো এ বারেও গোপাল কি তাঁকে ‘হেলেপ’ করবে?
এই উত্তর জানেন না ‘মিঠাই’-ও। তবে কেন এমন ঘটল, তার কারণ তিনি ফাঁস করেছেন। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, আততায়ীর হাতে মিঠাই আক্রান্ত হওয়ার পরেও ধারাবাহিকের অন্যতম দুই খল চরিত্র সোম এবং তোর্সার সাধ মেটেনি। এ বার তারা নতুন ফন্দি এঁটে মিঠাইকে জেলে পাঠিয়েছে। জেলেই জন্মাষ্টমী পুজো। সেই দৃশ্য শ্যুট হচ্ছে গোপালের জন্মতিথিতেই।
এটা যদি পর্দার গল্প হয়, বাস্তবে গোপালের জন্মতিথি কী ভাবে পালন করলেন সৌমিতৃষা? অভিনেত্রীর জবাব, আজ সকাল সকাল তিনি আর তাঁর মা স্নান সেরে নিয়েছেন। তার পর বাড়ির গোপালকে স্নান করিয়ে নতুন জামা পরিয়েছেন। ভোগ দিয়েছেন নারকেল নাড়ু, তালের বড়া, মালপোয়া, নানা রকমের মিষ্টি, ফল। সৌমিতৃষার বক্তব্য, ‘‘পুরোহিত ডেকে পুজো করতে পারিনি। শ্যুটে আসতে হবে বলে। তবে মন দিয়েই আমরা পুজো করেছি। আর সারা দিন নিরামিষ খাচ্ছি।’’ একই দিনে বাবা লোকনাথের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সৌমিতৃষা সাধক পুরুষেরও পুজো করেছেন। ভোগ দিয়েছেন অমৃতি জিলিপি।
বাস্তবে গোপাল তাঁকে কোনও দিন সত্যিকারের ‘হেলেপ’ করেছে? জবাবে ‘মিঠাই’ আর সৌমিতৃষা একাকার, ‘‘পাশে না থাকলে জ্বর গায়ে আউটডোর শ্যুট করতে পারতাম? আমি কিন্তু বিশ্রাম না নিয়েই টানা কাজ করে যাচ্ছি। গোপাল আছেন বলেই সম্ভব হচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy