(বাঁ দিকে) আদৃত রায়। সৌমিতৃষা কুন্ডু (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য বিয়ে করেছেন আদৃত রায় ও কৌশাম্বী চক্রবর্তী। মধুচন্দ্রিমায় স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন অভিনেতা। এর মাঝেই অবশ্য আদৃতের জন্মদিন। বিয়ে আর জন্মদিন, দুটোই একই মাসে আদৃতের। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সেটেই দেখা আদৃত-কৌশাম্বীর সেখান থেকেই প্রেম। যদিও পর্দায় অভিনেতার দিদির চরিত্রে দেখা যেত কৌশাম্বীকে। তাঁর সঙ্গে বাস্তব জীবনে গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেতা।
তাঁদের প্রেমের মাঝে যাঁর নাম ঘুরে ফিরে এসেছে, তিনি সৌমিতৃষা কুন্ডু।
মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর জুটি এক সময় রাজত্ব করত টিআরপি তালিকায়। তবে আচমকাই বন্ধ হয় একদা এক নম্বর এই ধারাবাহিক। তার নেপথ্যে নানা কাহিনী ভেসে বেড়ায় টেলিপাড়ায়। এক সময়ের বন্ধু সৌমিতৃষা ও আদৃত নাকি আর বন্ধু নেই! ধারাবাহিকের সঙ্গে ভেঙে যায় মিঠাই-সিদ্ধার্থ জুটি। অভিনেতার বিয়েতে গোটা ‘মিঠাই’ টিম উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলেনি সৌমিতৃষার। আদৃতের জন্মদিন ভুলে গেলেও উচ্ছেবাবুকে নিয়ে কোন স্মৃতির কথা জানালেন সৌমিতৃষা?
আদৃতের বিয়ের সময় থেকে নানা ছুতোয় নাম এসেছে সৌমিতৃষার। তবে অভিনেত্রী বিরক্ত অহেতুক তাঁর নাম ধরে টানাটানি করায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌমিতৃষা বলেন, ‘‘ আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আদৃতের জন্মদিন, আমার এত জন্মদিন, বিয়ের দিন এ সব মনে থাকে না। তা-ও বলব ভাল থাকুক, কেরিয়ারে সাফল্য আসুক, এই কামনাই করি।’’ তবে শোনা যেত, একটা সময় নাকি নিবিড় বন্ধুত্ব ছিল আদৃত-সৌমিতৃষার? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘না, ভাল বন্ধু নয়, বরং আমরা ভাল সহকর্মী ছিলাম। আসলে যে কোনও ধারাবাহিক শুরু হওয়া মানেই বছর দুয়েকের পথ চলা। একসঙ্গে এতটা সময় কাটানো সেটে, যার ফলে বন্ধুত্ব তৈরি হয় সেখান থেকে। আদৃতের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও ভাল সহকর্মী হত।’’ তবে ভাল সহকর্মীর বিয়েতে সৌমিতৃষাকে দেখা গেল না কেন? সৌমিতৃষা বলেন, ‘‘নিমন্ত্রণ পাইনি, তাই দেখা যায়নি। আমারও তাঁদের শুভেচ্ছা পাঠানো হয়ে ওঠেনি। আমরা তো জানতামই ‘মিঠাই’ চলাকালীন, তখনই শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলাম।’’ শেষে সৌমিতৃষার সংযোজন, ‘‘আমদের ধারাবাহিক চলাকালীন সেটেই সকলের জন্মদিন পালন করা হত। খুব মজা করতাম, কেক কাটা হত, সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy