রোশনের সঙ্গে সায়নদেব।
একটা সময় উঠতে-বসতে স্ত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোর টক্কর দিতেন। প্রায় একই সঙ্গে দু’জনের জিম খোলা, নেটমাধ্যমে কথার মারপ্যাঁচ ছিলই। সেই টক্কর জিইয়ে রেখে এ বার কি রাজ্য রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন রোশন সিংহ? সোমবার বিকেলে তাঁর ইনস্টাগ্রামে জ্বলজ্বল করছে মন্ত্রীপুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তোলা ছবি। দু’জনের মুখেই হাসি। আনন্দবাজার অনলাইনকে যদিও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সাফ জানিয়েছেন, ‘‘রোশন আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু। লকডাউনের পর দেখা হল। ছবি তোলার সুযোগ ছেড়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
শুধু বন্ধুত্ব? নাকি এ ভাবেই আস্তে আস্তে রাজনীতির ময়দানের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন রোশন?
সায়নদেবের দাবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা হওয়া, ছবি তোলা, বন্ধুত্ব থাকা মানেই রাজনীতি করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, রোশনের জিমে গত দু’বছর ধরে তিনি নিয়মিত আসছেন। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই সাময়িক বন্ধ রেখেছিলেন শরীরচর্চা। শোভনদেবের মতোই তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছেন। তাই ধীরে ধীরে জিমে যাতায়াত শুরু করেছেন। তার মধ্যেই আচমকা দেখা রোশনের সঙ্গে। পুরোটাই কাকতালীয়। সায়নদেব আরও জানিয়েছেন, ‘‘শ্রাবন্তীর মাধ্যমে আমাদের পরিচয়, বন্ধুত্ব কোনওটাই হয়নি। আমার কাছে রোশনের পরিচয়, তিনি জিমের অন্যতম কর্ণধার।’’
এ ভাবেই বিজেপি সমর্থক ‘বন্ধু’ সোহেল দত্তের সঙ্গে তোলা ছবি নেটমাধ্যমে দেওয়ার পরের দিনই পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত। সায়নদেবের দাবি, বনি তাঁরও খুব ভাল বন্ধু। একই ভাবে রুদ্রনীল ঘোষও তাঁর কাছের মানুষ। পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে বন্ধুত্ব অস্বীকার করব? সেটা অসম্ভব। তাই রোশনের মতো ওঁদের সঙ্গে দেখা হলেও কথা বলব। ছবিও তুলে ভাগ করে নেব নেটমাধ্যমে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy