শ্রীলেখা মিত্র। —ফাইল চিত্র।
২০৫০ সালে এগিয়ে গেলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র! ওই সময়ে নিজেকে রেখে এক ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রকাশ করলেন মানুষের আগের জীবনের কথা। আগের জীবন বলতে তিনি ২০২০ বা তার আগের সময়কেই বুঝিয়েছেন।
কেমন ছিল সেই জীবন? শ্রীলেখা কাটা কাটা স্বরে ভিডিয়োতে কথা বলছেন। কাটা কাটা স্বর, কারণ তাঁর মনে হয়েছে ২০৫০-এ মানুষের কথা বলার ভঙ্গিও বদলে যাবে। তিনি বলছেন, ‘‘তখন মানুষ মাস্ক পরত না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতো না। যখন খুশি পার্টি করত। না, শুধু পলিটিক্যাল পার্টি নয়, বন্ধুদের সঙ্গেও পার্টি। তখন ‘আড্ডা’ বলে একটা বিষয় ছিল...।’’
এই ভাবেই বলে চলেছেন শ্রীলেখা। যখন পলিটিক্যাল পার্টির কথা বলছেন তখন ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ। তাঁরা বক্তৃতা সভায় উপস্থিত। অন্য দিকে আবার বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ভেসে আসছে ভিডিয়োতে, যাকে আর এক ধারার পার্টি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন শ্রীলেখা। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী বন্ধুদের সঙ্গে ওয়াইন গ্লাসের চুমুকে খুশিতে ভরপুর।
আরও পড়ুন: টানা দু’মাস শুটিং বন্ধের পরে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলার টেলি-ইন্ডাস্ট্রি?
আরও পড়ুন: লকডাউনে পানভেলের ফার্মহাউজ থেকে বাবাকে দেখতে মুম্বই গেলেন কেন সলমন?
এ রকম করেই নানা বিষয় ভিডিয়োতে তুলে ধরেছেন শ্রীলেখা। তাঁর ভিডিয়োর এক অধ্যায় জুড়ে আছে লিপস্টিক! লিপস্টিককে কতখানি মিস করছেন তিনি তা বোঝা যাচ্ছে! যেহেতু সময় ২০৫০, তাই শ্রীলেখা ব্যাখ্যা করেছেন কেমন করে লিপস্টিক ঠোঁটে লাগাত ২০২০ সালের মানুষেরা। লিপস্টিক প্রসঙ্গ থেকেই অনায়াসে রাত পার্টি আর চুমুর প্রসঙ্গে চলে গিয়েছেন শ্রীলেখা, দেখিয়েছেন মানুষ একে অন্যকে ভাল লাগলে কী গভীর ভাবে চুমু খেত। হতাশা তাঁর গলায়, কারণ সময় ২০৫০। মানুষ আর সে রকম নেই। কিন্তু শ্রীলেখা ওই সময়ে কেমন আছেন? কী ভাবে আছেন? তাঁকে দেখতে কেমন হয়েছে? সেটা দেখাবে তাঁর ২০৫০ সালের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভিডিয়ো। ভিডিয়োর ভাবনা যে সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক এবং অনুমানমূলক, তা কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস বা রাজনীতিকে সমর্থন করে না, তা-ও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy