ঊষসী চক্রবর্তী ও ইন্দ্রাণী হালদার।
দু’জনেই প্রতিদ্বন্দ্বী। সাপে-নেউলে সম্পর্ক। অথচ গোটা একটা দিন গলা জড়িয়ে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিলেন শ্রীময়ী আর জুন আন্টি। পাশাপাশি বসে কফি, ফিশ ফ্রাই, কাবাব খেতে খেতে দেখলেন ক্রিকেট ম্যাচ। এমনকি গালে গাল ঠেকিয়ে নিজস্বীও তুললেন পর্দার দুই প্রতিপক্ষ।
কেন! তবে কি নতুন মোচড় আসছে জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিকে! এমন ‘ভাল’ হওয়ার অভিনয় মাঝে মধ্যেই করেন জুন। ‘শ্রীময়ী’ ইন্দ্রাণী হালদারকে হুঁশিয়ার করতে তখন মাঠে নামতে হয় বিশেষ বন্ধু ‘রোহিত সেনগুপ্ত’ ওরফে টোটা রায়চৌধুরীকে। অথচ সেই টোটাকেও দেখা গেল শ্রীময়ী-জুনের বন্ধুত্ব নিয়ে নির্বিকার। ‘জুন’ ঊষসী চক্রবর্তীর নিজস্বীর অনুরোধে এক গাল হেসে সাড়া দিলেন তিনি।২৬ জানুয়ারি ছুটির দিন পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের কলা-কুশলীরা। সেখানেই ধরা পড়েছে এ সব টুকরো মুহূর্ত। পিকনিক স্পট থেকেই সমাজ মাধ্যমে লাইভ ভিডিয়ো করেছেন ঊষসী। ‘শ্রীময়ী’-র পিকনিকে তাঁরা কী কী মজা করলেন, তা অনুরাগীদের জানাতেই ওই ভিডিয়ো। প্রথমেই পর্দায় দেখা যায় শ্রীময়ীর বড় ছেলে ‘জাম্বো’-কে। অভিনেতা রোহিত সামন্তের দুঃখ, তাঁকে খেলতে নেওয়া হয়নি। ‘‘পিকনিক স্পটে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। তত ক্ষণে ক্রিকেট ম্যাচের টিম বানানো হয়ে গিয়েছিল।’’ বললেন রোহিত।
দ্রুত ভিডিয়ো ঘোরে ‘শ্রীময়ী’র দিকে। ঊষসীর গলা জড়িয়ে ইন্দ্রাণী জানালেন, ‘‘আজ কিন্তু আমরা চুলোচুলি করছি না। আজ আমাদের গলায় গলায় ভাব।’’ পাশেই বসে মন দিয়ে ম্যাচ দেখছিলেন টোটা, ভরত কল। সম্ভবত তাঁদের টিমের ব্যাটিং চলছিল। ভরতকে দেখা গেল স্কোর নিয়ে বেশ চিন্তায়। সদ্য ব্যাট করে ফিরেছেন। গায়ে ‘শ্রীময়ী’ লেখা নীল সাদা জার্সি। ‘‘তিন ওভারে ২৫ রান। এই ম্যাচটা জিততেই হবে।’’ ম্যাচের আপডেট দিয়ে বললেন ভরত।
পর্দায় বিশেষ বন্ধু রোহিতকে কাছে আসতে দিতে না চান শ্রীময়ী। তবে, পিকনিকে দেখা গেল টোটার সঙ্গে ছবি তুলতে বেশ উৎসাহী ইন্দ্রাণী। শুধু ঊষসীর সঙ্গে নিজস্বী তুলেই থামলেন না। আলোকচিত্রীকে ডেকে আলাদা করে শুধু টোটার সঙ্গে তাঁর ছবি তোলার অনুরোধ করলেন। টোটা অবশ্য তারপরও হতাশ। ক্যামেরায় বললেন, ‘‘আমি চিরকালের প্রত্যাশী। প্রত্যাশী হয়েই থেকে যাবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy