দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বলিউডের হিন্দি ছবিই ছিল বিশ্বের সিনেমা-মানচিত্রে সবচেয়ে উৎপাদনশীল ক্ষেত্র, আর এখন? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর ছবি মানেই নাচগান, রাজকীয় প্রদর্শন। রাজামৌলী পরিচালিত ‘আরআরআর’-এর কাহিনি গড়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিক যুগের বিপ্লবীদের নিয়ে। বড় করে ছবি ভেবেছিলেন পরিচালক। ভিস্যুয়াল এফেক্ট, অ্যাকশন দৃশ্য, গান— সব মিলিয়ে জমজমাট বিনোদন। সেই ছবিই প্রথম এক সর্বাঙ্গীণ ভারতীয় ছবি হিসাবে অস্কারের দৌড়ে রয়েছে। যা নিয়ে গর্বিত দেশবাসী।
ভারতের বক্স অফিসের সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়েছে এই ছবি। মুগ্ধ করেছে জাপান থেকে শুরু করে আমেরিকার দর্শককে। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা অস্কারের মঞ্চে এই ছবির গান সেরা মৌলিক গান হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়ছে। টেলর সুইফ্ট এবং রিয়ানাকে পিছনে ফেলে ইতিমধ্যেই গোল্ডেন গ্লোব জিতেছে এই ছবির গান ‘নাটু নাটু’।
পরিচালক বললেন, ‘‘ যখন আমি একটা ছবি করার কথা ভাবি, আমি দেখি সাধারণ জীবনের চেয়ে বড় কিছু পরিস্থিতি, নাটকীয়তা, চরিত্র। আমি সেই রকমটাই বানাতে চাই।’’ দক্ষিণী ছবি ‘আর আর আর’ সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ভারতীয় ছবির তালিকায় প্রথম দিকেই আছে। বিশ্বের কাছে দক্ষিণী ছবির একটি ফলদায়ক পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই ছবি।
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বলিউডের হিন্দি ছবিই ছিল বিশ্বের সিনেমা-মানচিত্রে সবচেয়ে উৎপাদনশীল ক্ষেত্র। কিন্তু আন্তর্জাতিক সিনেমাগুলির পুরস্কারের ক্ষেত্রে ইংরেজি ছবিরই জায়গা ছিল শুধু। ছবিটা ধীরে ধীরে বদলায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিপুল স্বীকৃতি জোটে ভারতের ছবির। ১৯৮২ সালে ব্রিটেন-ভারত যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘গান্ধী’ অস্কার পায়। ২০০৮ সালে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ও অস্কার মঞ্চে স্বীকৃতি পায়।
বর্তমানে অস্কার মঞ্চে ‘নাটু নাটু’র সাফল্য নিয়ে আশাবাদী রাজামৌলী। ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সি পরিচালক বললেন, ‘‘আমরা নিজেদের এগোনোর রাস্তা তৈরি করছি। তবে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’’ দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওরা যে ধরনের পথ তৈরি করেছে, আমাদের প্রত্যাশাও তেমনটাই থাকা উচিত।’’
২০১৫ সালে সব নজির ভাঙা ‘বাহুবলী’ ছিল ভারতের অন্যতম ব্যয়বহুল ছবি। ইতিহাস আশ্রিত সেই বহুল জনপ্রিয় অ্যাকশন ছবির কৃতিত্বও রাজামৌলীরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy