ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। এ দিন সন্তানের মঙ্গলকামনারও দিন। বাঙালি মায়েরা সারা দিন উপবাস রাখেন। দেবীর পায়ে অঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা জানান, “আমার পাপ যেন সন্তানকে স্পর্শ না করে। ওকে তুমি পাপমুক্ত রেখো।” রুপোলি পর্দার অভিনেত্রীরাও দিনের শেষে মানবী, সন্তানের মা! ছেলেমেয়ের জন্য তাঁরা কি ষষ্ঠী পুজোর নিয়ম মানেন?
আনন্দবাজার ডট কম কথা বলেছিল সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী, রূপসা চট্টোপাধ্যায়, অহনা দত্ত, অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর সঙ্গে।
সুদীপা-অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান আদিদেব। চট্টোপাধ্যায় পরিবারে ধুমধাম করে প্রতি বছর দুর্গাপুজো হয়। তাঁর কথায়, “এ দিন বেলতলায় মায়ের পুজো হয়। দেবী এ দিন বেলতলায় অবস্থান করেন। পুজোর শেষে সন্তানকে কোলে বসিয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করি, আমার পাপ যেন আমার সন্তানকে স্পর্শ না করে।” তার পর অঞ্জলি দেন। এ দিন বাড়িতে নিরামিষ। কিন্তু সুদীপা ভাত খান না। ষষ্ঠীতে তাঁর পাতে লুচি, নিরামিষ তরকারি। “ছোটবেলায় মাকে এই নিয়ম পালন করতে দেখেছি। এখন শ্বশুরবাড়িতে আমি সেটা মেনে চলি”, বক্তব্য সুদীপার।
রূপসা চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দিতা রায়চৌধুরী কী করবেন? ছবি: ফেসবুক।
সম্প্রতি সন্তান নিষাদকে প্রকাশ্যে এনেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-পিয়া চক্রবর্তী। পিয়া সন্তানের জন্য কী করছেন? পরম-পত্নী ঈশ্বরবিশ্বাসী নন। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, “আমি কোনও রীতি-নীতিতে নেই। মায়েরা এমনিতেই সারাক্ষণ সন্তানের মঙ্গল চান। এর জন্য আলাদা নিয়মপালনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।” প্রায় একই সুর শোনা গেল অনিন্দিতার মুখেও। একরত্তি কন্যাকে পুজোয় মনের মতো করে সাজানোর ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়িতে ষষ্ঠী পালনের নিয়ম নেই।
অনিন্দিতার কথায়, “আমরা কাঠ বাঙাল। আমাদের পুজো তাই মাছ-মাংসয়। নিরামিষ খাওয়ার প্রশ্নই নেই।” তিনিও মনে করেন, সন্তানের জন্য মা সদাসতর্ক। মাকে এড়িয়ে সন্তানের ক্ষতি করার ক্ষমতা কারও নেই।
অহনা, রূপসা কিন্তু নিয়ম মানবেন। এ দিন ছেলেকে নিয়ে ব্র্যান্ড শুটে ব্যস্ত রূপসা। বললেন, “পুজো, অঞ্জলি— কিছুই মানতে পারলাম না। কারণ, শুটিংয়ের তারিখ আগে থেকে দেওয়া। আমি নিরামিষ খাব।” অহনা অবশ্য নিখুঁত নিয়ম মেনেছেন। উপোস করে দেবী দুর্গার কাছে পুজো দিয়েছেন। তিনিও কাজে ব্যস্ত থাকবেন। কিন্তু নিরামিষ খেতে ভুলবেন না।