১২ জুন লন্ডনে পোলো খেলতে গিয়ে গলায় মৌমাছি ঢুকে মৃত্যু হয় ধনকুবের সঞ্জয় কপূরের। অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী হিসাবে বরাবরই চর্চায় ছিলেন এই শিল্পপতি। মৃত্যুর পরও সেই চর্চায় ইতি নেই। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ছ’টি দিন। প্রথমে জানা গিয়েছিল সঞ্জয়ের মরদেহ দিল্লি নিয়ে আসা হবে, সেখানেই শেষকৃত্য হবে তাঁর।
আরও পড়ুন:
কিন্তু সপ্তাহখানেক হতে চলল, এখন কোনও উচ্চবাচ্য নেই কপূর পরিবারের তরফে। এমনকি স্বামীর মৃত্যুর পর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁর তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেবকে। এত দিন ধরে মরদেহ কেন আটকে রাখা হয়েছে? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সঞ্জয় লন্ডননিবাসী হলেও তিনি আদতে আমেরিকার নাগরিক। তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়ার বাবা অশোক সচদেব জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের নাগরিকত্ব নিয়ে একটা জটিলতা হওয়ায় এতটা দেরি হচ্ছে। যদিও সঞ্জয়ের দিল্লিতেও বাড়ি আছে। সেখানে সঞ্জয়ের মা, বোন ছাড়াও থাকে প্রিয়ার প্রথম পক্ষের মেয়ে (সঞ্জয়ের দত্তক সন্তান)। এমন আকস্মিক ঘটনার পর চুপ গোটা পরিবার।
এর আগে সঞ্জয়ের মায়ের বিরুদ্ধেও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন করিশ্মা। অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সঞ্জয় মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর দিল্লির বাসভবনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে চার হাত এক হয়। সঞ্জয়-প্রিয়ার এক পুত্র রয়েছে, নাম আজ়ারিয়াস কপূর।