মৃত্যুর প্রায় ৭ দিনের মাথায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় সঞ্জয় কপূরের। সঞ্জয়ের মত্যু ছিল আকস্মিক। লন্ডনের এক ক্লাবে পোলো খেলছিলেন শিল্পপতি। আচমকাই নাকি লুটিয়ে পড়েন। মুখে আওড়াতে থাকেন ‘আমি কিছু একটা গিলে ফেলেছি।’ পরে জানা যায় তিনি নাকি মৌমাছি গিলে ফেলেছেন। কিন্তু এত বড় শিল্পপতির চিকিৎসার জন্য কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
সঞ্জয় সে দিন পোলো খেলছিলেন সজ্জন জয়সওয়ালের সঙ্গে। মৌমাছি গলায় ঢুকে যেতেই অস্বস্তি শুরু। সঙ্গে সঙ্গে খেলা থামিয়ে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে পাম্প করা শুরু হয়। পোলোর মাঠে শুইয়ে তাঁকে দেওয়া হয় স্যালাইন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সময় পাওয়া যায়নি।
এ দিকে সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর থেকে করিশ্মার অতীত নিয়ে বার বার কাটাছেঁড়া হয়েছে। যদিও প্রাক্তন স্বামীর শেষযাত্রায় হাজির ছিলেন করিশ্মা। ফুলে চাদরে ঢাকা সঞ্জয়ের মরদেহ। বাবাকে ওই ভাবে দেখে ঠিক থাকতে পারেনি করিশ্মা-সঞ্জয়ের ১৩ বছরের ছেলে কিয়ান। আছড়ে পড়ে মরদেহের উপর। মা-মাসির হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে কিয়ান। এই পরিস্থিতিতে দু’হাত দিয়ে বোনপোকে আগলাচ্ছিলেন করিনা। মেয়ে সামাইরা শক্ত থাকলেও ছেলেকে সামলানো কঠিন হয়েছিল। অভিনেত্রীর সঙ্গে ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় সঞ্জয়ের। যদিও দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সঞ্জয়ের।