বিয়ের সাজপোশাকেও সম্প্রীতির বার্তা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিয়েতে নজির রাখলেন ভিন্ন জগতের দুই তারকা। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি থেকে শুরু হয়ে বরেলিতে এসে শেষ হল অভিনেত্রী-সমাজকর্মী স্বরা ভাস্বর এবং রাজনীতিবিদ ফাহাদ আহমেদের বিয়ের অনুষ্ঠান। সাবেকি অনুষ্ঠানের ঘনঘটা পার করে শেষ দিনেও জাঁকজমকের অন্ত ছিল না স্বরার পোশাকে। ‘ওয়ালিমা’ দিয়ে শেষ হল নব দাম্পত্যের উদ্যাপন।
ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে বরেলিতে ফাহাদের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। নজরকাড়া পাকিস্তানি লেহঙ্গায় সেজেছিলেন স্বরা। সঙ্গে সোনার অলঙ্কার। ঝলমলে সোনালি শেরওয়ানিতে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ফাহাদ।
ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বইতে রেজিস্ট্রি করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন স্বরা-ফাহাদ। ‘নিকাহ্’র মতো বাঁধা গতের অনুষ্ঠান তাঁরা করতে চাননি। যদিও গায়েহলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীতের মতো অনুষ্ঠান করেছিলেন তাঁরা। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানও হয়েছিল সাড়ম্বরে, দিল্লিতে স্বরার দাদুর ফার্মহাউসে। স্বরা-ফাহাদের বিয়ের অনুষ্ঠানেও ছিল হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির মেলবন্ধন। বিয়ের সাজপোশাকেও সম্প্রীতির বার্তা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিয়েতে নজির রাখলেন ভিন্ন জগতের দুই তারকা।
মনের মিল হয়েছিল বন্ধুত্ব থেকেই। তার পর কখন এসে পড়েছিল প্রেম বুঝতে পারেননি। স্বরা-ফাহাদের একসঙ্গে পথ চলা শুরু হল অতঃপর। স্বরা বলেন, “মনখারাপ হলেই ওকে ফোন করতাম। সেই সময় চিকিৎসার কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। ফাহাদ আমাকে রোজ ফোন করত, আমার সঙ্গে দেখা করত, উৎসাহ দিত।”
তবে এই দম্পতির কাছাকাছি আসা নাকি এক পোষ্যকে ঘিরে। বিশেষ করে স্বরার প্রিয় বিড়ালের মৃত্যুর পর ফাহাদ তাঁকে দিয়েছিলেন আরও একটি বিড়াল। স্বরার কথায়, “আমার উদ্ধার করা বিড়ালটা যখন মারা গেল, ও আরও একটা বিড়াল নিয়ে এল, নাম রাখলাম গালিব। এই বিড়ালটাকে ফাহাদ উদ্ধার করেছিল। তখন বিড়ালটাকে আমার কাছে রাখব কি না ফাহাদ জানতে চায়।’’ রাজি হয়েছিলেন স্বরা। এরই সঙ্গে অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘‘গালিবকে নিয়ে আবার নতুন বন্ধন গড়ে উঠল। আমরা রোজ ফোনে, মেসেজে কথা বলতাম। ফাহাদ খুব সম্মান দিয়ে কথা বলত, ওর সঙ্গে থাকলে নিজেকে নিরাপদ মনে হত আমার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy