উপলক্ষ, টেকনিশিয়ানদের সম্মানিত করা। রবিবার সন্ধ্যায় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয় ফেডারেশনের মঞ্চ যেন মিলনমেলা। সেখানেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করলেন সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস! তাঁর ডাকে একমঞ্চে আলিঙ্গন দেব-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের।
রবিবাসরীয় সন্ধ্যা এই এক দৃশ্যেই সরগরম! ঝড়ের গতিতে ক্যামেরাবন্দি হয়ে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই মুহূর্ত। যা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, শনিবার যুবভারতীতে মেসিকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ‘বিশ্বাস ব্রাদার্স’-এর অন্যতম, মন্ত্রী অরূপ। রবিবার কি কিছুটা হলেও এ ভাবেই তাতে প্রলেপ দিলেন স্বরূপ? এখানেই শেষ নয়। এ দিন ‘বহুরূপী’ ছবির জন্য সম্মানিত হন রূপটানশিল্পী পাপিয়া চন্দ। তাঁকে সম্মানিত করেন স্বয়ং দেব!
‘বহুরূপী’র জন্য সম্মানিত রূপটানশিল্পী পাপিয়া চন্দ পুরস্কার নিলেন দেবের হাত থেকে। নিজস্ব ছবি।
বিভিন্ন পুরস্কারের মঞ্চে বরাবরই অভিনেতা, পরিচালকেরা সম্মান পেয়ে এসেছেন। কিন্তু যাঁদের ছাড়া ছবি, সিরিজ় বা ধারাবাহিক সম্পূর্ণ হতে পারে না, সেই কলাকুশলীদের কথা ক’জন মনে রাখেন? ছবির শেষে ‘টাইটেল কার্ড’-এ যখন তাঁদের নাম দেখানো হয়, সাধারণত তখন প্রেক্ষাগৃহ ফাঁকা হয়ে যায়! তাই ফেডারেশনের উদ্যোগে রবি-সন্ধ্যায় তাঁরা সম্মানিত হলেন। সেই মঞ্চে স্বরূপের ডাকে হাজির দেব। আচমকাই সভাপতি সেখানেই ডেকে নেন শিবপ্রসাদকেও। একঝাঁক সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে প্রথমে হাত মেলান তাঁরা। এর পরে দেব নিজেই বুকে জড়িয়ে নেন শিবপ্রসাদকে! একটু দূরে দাঁড়িয়ে চওড়া হাসি হাসতে দেখা যায় স্বরূপকে।
এক মঞ্চে আলিঙ্গন দেব-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। সৌজন্য স্বরূপ বিশ্বাস। নিজস্ব ছবি।
গত তিন বছর ধরে পুজোয় ছবিমুক্তির সময়ে দেব-শিবপ্রসাদের দ্বন্দ্ব চলছেই। দেবের অনুরাগীরা শিবপ্রসাদের কাহিনি-চিত্রনাট্যকার স্ত্রী জ়িনিয়া সেনকে সমাজমাধ্যমে হেনস্থা করেছেন বলেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারকাদম্পতি। পুরো বিষয়টি আদতে টলিউডের অন্দরের ঝামেলাকেই প্রকাশ্যে এনেছে, যা অস্বস্তিতে ফেলেছিল বাংলা বিনোদনদুনিয়াকে। এ বার কি সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে? ঘটনাপ্রবাহ বলছে, দেব এবং শিবপ্রসাদ মঞ্চ থেকে নেমে যে যার মতো। আর তাঁদের পাশাপাশি বসতে দেখা যায়নি। যদিও সাংবাদিকদের সামনে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদের কাজের প্রশংসা করেন দেব।