স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অতীতে ডুব দিয়েছেন। ফিরে গিয়েছেন ছেলেবেলায়। তাঁর মনে পড়ছে দিদা, দাদুর কথা। তাঁর ‘বৌমা’র কথা! যিনি তাঁর নাম দিয়েছিলেন, ‘রাজেন্দ্রাণী’। যেখানে তিনি ভীষণ আদর পেয়েছেন। প্রশ্রয়ও পেয়েছেন হয়তো। পুজোর আগে পুরনো কথা মনে করে চোখ ভিজেছে অভিনেত্রীর। সে কথা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে।
কিন্তু, স্বস্তিকার ‘বৌমা’ কে?
সে এক মজার স্মৃতি। অভিনেত্রী তখন ছোট। প্রায়ই মায়ের হাত ধরে বোনকে নিয়ে পৌঁছে যেতেন মামার বাড়ি। বিশেষ করে গরমের ছুটি পড়লেই তিনি সেখানে। গরমের ঝিম ধরা দুপুরে তিনি শুয়ে থাকতেন খাটে। আনমনে কড়িকাঠ গুনতেন। তখনই পাশের ঘর থেকে দাদুর হাঁক, “রাজেন্দ্রাণী কটা টিকটিকি খুঁজে পেলি?” এর পরেই ফাঁস আসল কথা। অভিনেত্রীর দিদা তাঁকে এই নামে ডাকতেন। স্বস্তিকার বোন অজপাকে সম্বোধন করতেন ‘রাজেশ্বরী’ বলে।
আর তাঁরা দিদাকে ডাকতেন ‘বৌমা’! কারণ, দিদার শ্বশুর-শাশুড়ি ‘বৌমা’ বলতেন। সেই সম্বোধনই পরে সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে স্বস্তিকার মামাবাড়ির নাম ‘বৌমাবাড়ি’। অভিনেত্রীর মতে, “বাকি বন্ধুদের মুখে মামাবাড়ি শুনে ভাবতাম, সেটা বোধহয় কোনও অন্য জায়গা। সেই বৌমা-ও নেই, বাড়ি-ও নেই।”
অভিনেত্রী সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের কথা, সেই সময়ের মানুষের গল্প বলেন। টুকরো টুকরো কথায় আঁকেন তাঁর ফেলে আসা দিনগুলো। স্বস্তিকার সেই গল্প শুনে স্মৃতিকাতর হন তাঁর অনুরাগীরাও। নিজেদের ছেলেবেলা খুঁজে পান। যেমন এক অনুরাগী লিখেছেন, “সত্যিই তাই। এই লেখাটা পড়ে মনটা কেমন একদিকে ভার হয়ে গেল! আবার একদিকে ছোটবেলায় ফিরে যেতে চাইল। ঠিক যে সময়ে দাদু, দিদা, ঠাকুমা এঁদের সান্নিধ্য পেতাম!”