শেষ যাত্রায় তরুণ মজুমদারের দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
চেয়েছিলেন মৃত্যুর পর কোনও ‘আড়ম্বর’ হবে না। শোকের বাড়বাড়ন্ত থাকবে না। থাকবে না ফুল-মালার আতিশয্য। সেই ইচ্ছা মেনেই শেষ যাত্রা তরুণ মজুমদারের। গায়ের ওপর জড়ানো কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকা। বুকের ওপর গীতাঞ্জলি। এনটিওয়ান স্টুডিয়োতে নিজের অফিস থেকে শেষ বার রওনা হল দেহ। এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেই হয়েছে দেহদান।
এসএসকেএম হাসপাতালে সোমবার সকালে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষ, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, মধুছন্দা দেব। দুপুর ২টো ৪২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে আনা হয় তরুণ মজুমদারের দেহ।
এসএসকেএমে পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপিএম নেতা কান্তি বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়িতে সাত দিন ধরে রেইকি করছিলেন। বলতেন আমি শেষ জীবনের শেষ ছবিটা করবই। চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন। পারলেন না। হাসপাতালে যে দিন জ্ঞান এল, কাগজে লিখে দিলেন ছবি আমি শেষ করবই। নিজেই ছবি হয়ে গেলেন। এক জন মানবদরদি, বামপন্থীমনস্ক পরিচালক সিনেমাজগতেও নতুন বিপ্লব আনতে চেয়েছিলেন। আর পাঁচ জনের মতো ছিলেন না।’’
এসএসকেএম থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এনটিওয়ান স্টুডিয়োতে পরিচালকের অফিসের সামনে। তরুণবাবুর ইচ্ছা মেনেই শববাহী গাড়ি থেকে নামানো হয়নি দেহ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনেও ছিল বারণ। অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, দেবদূত ঘোষ, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, দোলন রায়, বোধিসত্ত্ব মজুমদার, সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় শেষ শ্রদ্ধা জানান। এর পরেই শববাহী গাড়ি রওনা হয় এসএসকেএমের দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy