Advertisement
E-Paper

খাবারেই বাঁধা সেটের সুর

খাওয়াদাওয়া-ভূতের গল্প তাঁদের রোজকার রসদ। ধারাবাহিকের সেটে আনন্দ প্লাসখাওয়াদাওয়া-ভূতের গল্প তাঁদের রোজকার রসদ। ধারাবাহিকের সেটে আনন্দ প্লাস

নবনীতা দত্ত

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৫
মানালি, স্নেহা ও সুমন।  ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

মানালি, স্নেহা ও সুমন। ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

রোদ পড়তে শুরু করেছে, বিকেলশেষে গিয়ে পৌঁছলাম ‘নকশিকাঁথা’র সেটে। মধুবনী পেন্টিং, রকমারি মুখোশ দিয়ে সাজানো সেট তখন ফাঁকা পড়ে। শিল্পীরা সব মেকআপ রুমে। দৃশ্যের প্রস্তুতি চলছে। সেখানে যেতেই এক টিফিন বক্স আপেল হাতে এগিয়ে এলেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায় ভৌমিক। ধারাবাহিকে তিনি যশের (সুমন দে) বাগদত্তা রোহিণীর ভূমিকায়। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এত বেলায় ফল? ভাবলাম বুঝি কড়া ডায়েটে আছেন!

আমার চিন্তা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন স্নেহা ও মানালি (শবনম)। ডায়েটের নাম নেন না তাঁরা। সকাল থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার আর খাওয়া চলে সেখানে। বিরিয়ানি থেকে শুঁটকি মাছ... সবই খান সেটে বসে। প্রত্যেক দিন সন্ধেবেলা ফুচকা, রোল, ফিশ ফ্রাই তো বাধা। কাছের মিষ্টির দোকানের সব মিষ্টিও সাবাড় করেন এই সেটের তারকারা। বারুইপুরে শুটিং চলাকালীন সেখানেও ভাল রেস্তরাঁ খুঁজে বার করে বিরিয়ানি খেয়েছেন তাঁরা।

‘‘এই দলের ফুড ম্যানেজার আমি। কোথায় কী খাবার পাওয়া যায়, সে সবের খবর থাকে আমার কাছেই। এই যেমন এখন নলেন গুড়ের মরসুমে অনলাইনে পিঠে-পুলি অর্ডার দেওয়ার জন্য সব খবর নিয়েই রেখেছি,’’ বললেন স্নেহা।

কিন্তু এত খাওয়াদাওয়া করেও চেহারায় তো তার কোনও ছাপ নেই! পেশার জন্য মেদ তো ঝরাতেই হয়। ভয় করে না মোটা হয়ে যাওয়ার? মানালির স্পষ্ট জবাব, ‘‘না বাবা, বাঙালি মেয়েদের একটু গোলগালই ভাল দেখায়। আর অপাদি (অপরাজিতা আঢ্য), বিদ্যা বালন, এঁদের দেখার পরে আমি বুঝে গিয়েছি যে, অভিনয়ই আসল। আমি তো বাবা খাওয়া ছাড়ব না! এই সুমনটা কিচ্ছু খায় না।’’ স্নেহার কথায়, ‘‘দশ দিন অর্ডার করলে সে এক দিন খায়।’’ চোখ ঘুরে গেল সুমনের (যশ) দিকে। তিনিও যোগ দিলেন। একা থাকেন, ফলে ওট্স, কর্নফ্লেকসই তাঁর ভরসা। আর শরীর নিয়ে সত্যিই তিনি সচেতন। তাই জাঙ্ক একদম খান না। তবে তাঁর খিদে পায় একদম ঘড়ির সময় ধরে।

বোঝাই যাচ্ছে, এই সেটে খাবারই রাজা। তবে সেই রাজার পাশাপাশি কিছু ভয়ঙ্কর প্রজাও বিদ্যমান। শোনা গেল, সেটে নাকি ভূত আছে! মেকআপ রুমে মাঝেমাঝেই তাদের সাড়াশব্দ পান সুমন। কিন্তু সেখানেই রাত অবধি বসে থাকেন তিনি একা। ভয় লাগে না? উত্তর, ‘‘ভয় লাগে। কিন্তু অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।’’ মানালি অবশ্য কোনও দিন ভূতের অস্তিত্ব টের পাননি বলেই জানালেন।

সন্ধে পেরিয়ে রাত নামছে। পা বাড়ালাম ফিরতি পথে। তখনও চলছে ভূত ও ফুডের আড্ডা।

Food Televison Artist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy