রেণুকাস্বামী হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেতা দর্শন থুগুদীপার জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সকালে জেবি পার্দিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ দর্শনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে কর্নাটক হাই কোর্ট অভিনেতার জামিন মঞ্জুর করেছিল। সেই রায় খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২৪-এর জুনে বেঙ্গালুরুর সুমনাহাল্লি সেতুর কাছে রেণুকাস্বামী (৩৩) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়। চিত্রদুর্গ অঞ্চলে এক ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, দর্শনের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেছিলেন রেণুকা। তাঁকে অবমাননাকর মেসেজ পাঠানো হত বলে জানা গিয়েছে। তার পর হঠাৎ উধাও হয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে দর্শন ও তাঁর স্ত্রী পবিত্রাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, অভিনেতার ভক্তরাই রেণুকাকে অপহরণ করে মারধর করে। তার পর হত্যা করে দেহ ফেলে দেয় সুমনাহাল্লি সেতুর কাছে।
এ দিন অভিনেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মূল অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর জামিনে তদন্তপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
শুধু তা-ই নয়, সংশোধনাগারে অভিনেতা যেন কোনও বিশেষ খাতির না পান, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এর আগে একটি ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে কফির কাপ হাতে নিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে আয়েশ করে বসে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন দর্শন। এ প্রসঙ্গেই বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, “যে দিন আমরা জানতে পারব সংশোধনাগারে অভিযুক্ত কোনও রকম বিলাসবহুল ব্যবস্থায় থাকছেন, সে দিনই সুপার-সহ অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হবে।”
রেণুকাস্বামীর বাবা কাশীনাথ শিবনগোদারু সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “অভিযুক্তের জামিন হয়ে যাওয়ায় আমরা খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আজকের রায়ে বুঝিয়ে দিল আইনের চোখে কোনও অপরাধীর ছাড় নেই।”