তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য
শেষ ধাপ পেরলেন তৃনীল। জমজমাটি রিসেপশনে সারলেন বিয়ের অনুষ্ঠান। বাদ দেননি একটিও। এ বারে কেবল হাতে হাত ধরে পথ চলা। দৈনন্দিন জীবনের দিকে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা। দাম্পত্যের মিঠে দিনগুলি অপেক্ষা করছে অভিনেত্রী তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্যের।
১০ বছরের দীর্ঘ প্রেম জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি। ১০ দিন পর প্রেমের দিবসে রিসেপশনটি সারলেন তাঁরা। তাতেও কোনও খামতি ছিল না। নবদম্পতি তাঁদের অতিথিদের ভরপেট খাইয়ে তবেই বাড়ি পাঠিয়েছেন।
তৃণার পরনে ছিল গাঢ় লাল রঙের লেহেঙ্গা। হাতে গলায় সোনার গয়না আর মাথায় মোটা করে সিঁদুর। নীল পরেছিলেন মেরুন শেরওয়ানি। কাঁধে ঝুলিয়েছিলেন সোনালি রঙের উত্তরীয়।
বিয়ের দিন অনুষ্ঠান স্থল সেজে উঠেছিল লাল সাদা কাপড়ে। এ দিন সাদা কাপড়ের উপর লাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। একটি বড় মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল যেখানে নবদম্পতির বসার জায়গা রাখা হয়েছিল। সেখানেই সমস্ত ছবি তোলার ধুম লেগেছিল। বড় পর্দায় চলছিল বিয়ের দিনের ভিডিয়ো। তাঁদের প্রেমের মুহূর্তগুলি ফুটে উঠেছে সেখানে।
খাবারের তালিকা ছিল লম্বা! শুরুর পাতে মাটন গলৌটি কাবাব থেকে শুরু করে পনীর টিক্কা কাবাব। সঙ্গে বিভিন্ন ফলের রস। গরম গরম পাস্তা তৈরি করার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তার পর ১১ রকমের স্রেফ সালাড! গ্রিন সালাড, ব্রকোলি সালাড, ফ্রুট সালাড আরও কত কী! ‘মেইন কোর্স’-এ নিরামিশাষী ও আমিশাষীদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা। বাটার নান, রুমালি রুটি, ডাল মাখানি, ককটেল ফিশ ফ্রাই, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাঁপ, বাসমতি রাইস, মুর্গির কষা মাংস, চিংড়ি। ও-দিকে নিরামিশাষীর পাতে পড়েছিল বাটার নান, রুমালি রুটি, ডাল মাখানি, পনীর পসন্দ, খুশখা পোলাও, বাসমতি রাইস, আলু-গোবি কষা, ইত্যাদি। মিষ্টি মুখের জন্য ছিল আলু বোখরার চাটনি, ক্ষীর সহযোগে কেসরি জিলিপি, পাঁপড়, গাজরের হালুয়া, সন্দেশ, ভ্যানিলা আইসক্রিমের সঙ্গে টাটকা ফল আর পান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy