ছোট পর্দায় বাস্তবের ছায়া ঘুরেফিরে আসে। যেমন, ধারাবাহিক ‘ফুলকি’তে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলের ছায়া পড়েছিল। নায়িকা ‘ফুলকি’ নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে পাড়ার সব মেয়েদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছিল। সাম্প্রতিক আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আনুমানিক ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল ওই দুর্ঘটনায়। সেই তালিকায় রয়েছেন বিমানসেবিকা, বিমানচালকও। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
বাস্তবের এই অঘটন এ বার জায়গা করে নিচ্ছে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’-এ। মঙ্গলবার ধারাবাহিকটি ৩০০ পর্বে পা রাখবে। তার আগে এটাই বড় চমক। ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’-এর গল্পে প্রথম থেকেই নায়ক বিমানচালক। ফলে, অনায়াসে এই বিষয়টি জায়গা করে নিতে পেরেছে চিত্রনাট্যে।
দেখতে দেখতে ৩০০ পর্ব পার। দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রযোজক সুশান্ত দাসের এই চমকই কি উপহার? বরাবর রেটিং চার্টে প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকে তাঁর ধারাবাহিক। সেই ধারা ধরে রাখতেই কি এই চমক?
প্রযোজকের তরফ থেকে এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে বলা হয়েছে, “চিত্রনাট্য মেনেই এই বিশেষ পর্ব দেখানো হচ্ছে। কারণ, শুরু থেকেই আমাদের নায়ক বিমানচালক।” প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কোন পর্ব বা কোন দৃশ্য দেখে দর্শক খুশি হবেন সেটা আগাম কিছুতেই বোঝা যায় না। কখনও তারা ‘ড্রয়িংরুম ড্রামা’য় খুশি। কখনও বাস্তবসম্মত গল্প নিয়ে তৈরি বিশেষ পর্বে। তাই এত কিছু ভাবা হয়নি।
আরও পড়ুন:
তবে এই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে মনের উপরে প্রভাব পড়েছে ধারাবাহিকের নায়ক নীলাঙ্কুর মুখোপাধ্যায়ের। “অহমদাবাদ বলুন বা বাংলাদেশ— দুটো বিমান দুর্ঘটনাই প্রত্যেকের মনেই গভীর ছাপ ফেলেছে। আমরা কষ্ট পেয়েছি। সেই কষ্ট আরও একবার পেলাম শুটিং করতে করতে। অনেক কিছু শিখলামও।” নীলাঙ্কুর শট দিতে গিয়ে দেখেছেন, বিমানযাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে কত ঝুঁকি নিতে হয় বিমানচালককে। কত পদ্ধতি শিখতে হয় তাঁকে। তার পরেও তিনি সফল হবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ধারাবাহিকে তো বিমানচালক বেঁচে গিয়েছেন? জানতে চাইতেই আফসোস ঝরেছে ছোট পর্দার নায়কের কণ্ঠ থেকে। তাঁর আক্ষেপ, “শট শেষ হতেই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছে। কেবলই মনে হচ্ছিল, ইশশ্! বাস্তবেও যদি এ ভাবেই বিমানচালক বেঁচে যেতেন।”