বন্দে ভারত প্রসঙ্গে কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন জয়জিৎ। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন টলিপাড়ার অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলেকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য অভিনেতা বেছে নিয়েছিলেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও চড়া বাকি ছিল। তবে সিটগুলো যা শক্ত, শরীরে ব্যথা হয়ে যাচ্ছে!’’
জয়জিতের এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে অভিনেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়। নেটাগরিকদের একাংশের মতে, অভিনেতা তৃণমূল সমর্থক বলেই নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে পাল্টা সমাজমাধ্যেমে একটি পোস্ট করেছেন জয়জিৎ। অভিনেতা লিখেছেন, ‘‘দাদা-দিদির ভক্তদের একটাই সমস্যা। তাঁদের আমলে জনগণনের অর্থে তৈরি করা সরকারি সম্পত্তির সমালোচনা করলেই তাদের জ্বলে।’’ জয়জিতের বক্তব্য পরিষ্কার। এরই সঙ্গে অভিনেতা লিখেছেন, ‘‘নিজের গাঁটের টাকা খরচা করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তৈরি করা ট্রেনে উঠে শক্ত সিটে শরীর ব্যথা করলে বা ট্রেনের খাবারে গন্ধ পেলে (যা ট্রেনের কর্মচারীরা মেনে ক্ষমাও চান ও সমস্যা মিটেও যায়) তাঁদের হেব্বি চুলকোয়।’’
জয়জিৎ এখানেই থামেননি। এর সঙ্গেই তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমি গরুর দুধে সোনা খুঁজি না আর চাকরি বেচে পয়সা রোজগার করি না। আমার মতামত আমি দেব তাতে আমার দাড়িও বাড়বে না, হাওয়াই চটির রংও বদলাবে না।’’ মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে অরিজিৎ সিংহের কনসার্ট দেখার পর জয়জিৎ এই মুহূর্তে ছেলেকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘বুঝতে পারছি না, কী ভুল বলেছি। গণপরিবহণের ভাল-খারাপটা প্রকাশ্যে তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে আমি কোন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করছি তা স্পষ্ট হয় কি না, আমার জানা নেই।’’ যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁদেরকে কী বলবেন? জয়জিতের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার পদবিতে ভুলবেন না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy