প্রযোজকের বিরুদ্ধে বকেয়া না মেটানোর অভিযোগ আনলেন শ্রীতমা। ছবি: ফেসবুক।
টলিপাড়ায় শিল্পী থেকে কলাকুশলী, বকেয়া পারিশ্রমিক না মেটানোর অভিযোগ নতুন নয়। এ বারে প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে এ রকমই অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী শ্রীতমা দে। অভিনেত্রীকে এর আগে দর্শক ‘সাহেবের কাটলেট’ ও ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ ছবিতে দেখেছেন। সম্প্রতি ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ‘সমরেশ বসুর প্রজাপতি’ ছবিতেও রয়েছেন তিনি।
শ্রীতমার দাবি, শহরের এক নামী প্রযোজনা সংস্থা তাঁর বকেয়া পারিশ্রমিক মেটাচ্ছে না। এমনকি, এই প্রসঙ্গে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করছেন অভিনেত্রী। বিষয়টি জানিয়ে সোমবার ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন শ্রীতমা। লিখেছেন, ‘‘বাধ্য হয়ে কর্ণধারের স্ত্রী-কে মেসেজ করি। কিন্তু উনি হয়তো এখনও সময় পাননি দেখার। এ দিকে সংস্থার একের পর এক ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে!’’
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে শ্রীতমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘গত বছর অগস্ট মাসে আমি ওদের একটা ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করি। অগ্রিম বাবদ প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়া এখনও বকেয়া টাকা পাইনি। টাকা চাইতেই এখন ওরা আর কেউ আমার ফোন ধরছেন না। মেসেজের উত্তরও দিচ্ছেন না।’’
মফস্সল থেকে কলকাতায় এসে ইন্ডাস্ট্রিতে ভাগ্যান্বেষণে নেমেছেন শ্রীতমা। পায়ের নীচের জমি এখনও সেই অর্থে পোক্ত হয়নি। জানালেন, অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকেই তাঁর ওই পোস্ট। শ্রীতমার সঙ্গে ওই ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত অনেকেই। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁদের মধ্যেও অনেকেরই নাকি এখনও প্রাপ্য পারিশ্রমিক বাকি রয়েছে। তাঁরা কী বলছেন? শ্রীতমার কথায়, ‘‘আমি কলকাতার বাইরের মেয়ে। নিজের সব খরচ চালাতে হয়। হয়তো বাকিদের হাতে কাজের সংখ্যা বেশি। তাই পারিশ্রমিক দেরিতে এলেও তাদের সমস্যা নেই।’’
প্রসঙ্গত, শ্রীতমা তাঁর পোস্টে অভিযুক্ত প্রযোজনা সংস্থার নাম উল্লেখ করেননি। এর আগেও এক বার বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সোমবার প্রথম তিনি বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি উল্লেখ করেন। নাম উল্লেখ করলে তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি হতে পারে— এই জাতীয় সতর্কবাণীও এসেছে বন্ধুদের তরফে। তা হলে এর পর কী? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না। সোমবার পোস্ট করার আগেও আমি ওদের ফোন করেছি। কোনও লাভ হয়নি। এর পর আমি নাম উল্লেখ করে সমাজমাধ্যমে বিষয়টা জানাতে বাধ্য হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy