যুবতীদের ‘ডিম্বাণু সংরক্ষণ’ করে রাখার পরামর্শ দিয়ে কটাক্ষের শিকার অভিনেতা রাম চরণের স্ত্রী উপাসনা কামিনেনী। ‘ব্যবসা’ করছেন তারকাপত্নী, এমনই অভিযোগ তোলে নেটদুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন উপাসনা। স্পষ্ট করলেন তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য ও মানে। ঠিক কী বললেন তিনি?
ডিম্বাণু সংরক্ষণের বিষয়ে উপাসনার নিদান শুনে নেটাগরিকের একাংশের মত ছিল, তিনি তাঁর পারিবারিক ‘আইভিএফ ক্লিনিক’-এর ব্যবসা বাড়াতেই এই কথা বলছেন। মুখ খুললেন উপাসনা। খোলসা করলেন, তিনি নিজে এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তবে অন্য হাসপাতালে। তাঁর বক্তব্য, তিনি কেবল এই প্রক্রিয়ার সুবিধা জানাতে চেয়েছিলেন।
সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি এই কটাক্ষের জবাব দেন। পোস্টের শুরুতেই কিছু প্রশ্ন রাখেন। তাঁর প্রশ্ন, “সামাজিক চাপে নয়, কেবল ভালবেসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কি একজন মহিলার অপরাধ? সঠিক সঙ্গী না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা কি অপরাধ? নিজের সুবিধামতো সময়ে সন্তানধারণের সিদ্ধান্ত কি ভুল? শুধু বিয়ে-সন্তানের কথা না ভেবে নিজের কেরিয়ারে মন দেওয়া কি উচিত নয় মহিলাদের?”
আরও পড়ুন:
‘ডিম্বাণু সংরক্ষণ’-এর কথা বলার পরে উপাসনার বিয়ের বয়স নিয়েও কটাক্ষ ধেয়ে আসে। তারও জবাব দেন তারকাপত্নী। উপাসনার স্পষ্ট কথা, তিনি ‘ভালবাসা’র জন্য মনের মানুষকে ২৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তিনি এই সিদ্ধান্ত নিজের ইচ্ছায় নিয়েছিলেন বলে জানান। এর পর ২৯ বছর বয়সে নিজের ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই বিষয়ে আমি চিরকাল খোলাখুলি কথা বলেছি বাকি মহিলাদের উৎসাহিত করার জন্য। আমার প্রথম সন্তান আসে ৩৬ বছর বয়সে। এখন ৩৯ বছর বয়সে আমি যমজ সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছি।” এখানেই তিনি উল্লেখ করেন, এই ডিম্বাণু সংরক্ষণ তিনি পারিবারিক হাসপাতালে করেননি। তাঁর মতে, কোনও মহিলা কখন বিয়ে করবেন, কবে সন্তানধারণ করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর অধিকার।