বিতর্ক আর উর্বশী রৌতেলা— যেন সমার্থক। আত্মপ্রচারে তিনি সিদ্ধহস্ত। সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, উত্তরাখণ্ডে তাঁর নামে রয়েছে একটি মন্দির। এ বার উর্বশী দাবি করলেন, ২৫১ জন মহিলার বিয়ে দিয়েছেন তিনি। রেঁধেছেন, মালা গেঁথেছেন এমনকি শাড়িও নাকি বুনেছেন।
উর্বশীর সেই মন্তব্য নিয়ে এ বার নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। উর্বশী সেখানে আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, তিনি নিজে হাতে মানুষের সেবা করেন, তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে কেউ ছাড়ে না। উর্বশী বলেছেন, “আমি দানধ্যান করি নিজের জন্মদিনে। এই বছর আমি ২৫১ জন মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে কেউ লেখালিখি করে না। আমার ভাল কাজের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে যাক, আমি তা চাই।”
উর্বশী জানিয়েছেন, তিনি সব সময়ে মলদ্বীপে বা দেশের বাইরে কোথাও জন্মদিন পালন করতে যান। কিন্তু এ বার সিদ্ধান্ত বদলান। তাঁর কথায়, “মধ্যপ্রদেশের খজুরাহোতে গিয়ে ২৫১টি দরিদ্র মেয়ের বিয়ে দিই। ওদের বিয়ের শাড়ি নিজের হাতে বুনেছি, ওদের মালা নিজে হাতে গেঁথেছি।” এখানেই শেষ নয়। বিয়ের জন্য খাবারও নাকি নিজে হাতে বানিয়েছেন উর্বশী। অভিনেত্রী বলেছেন, “ওদের বিয়ের জন্য নিজে হাতে ভাত, ডাল ও সবজি তৈরি করেছিলাম। মিষ্টি, জিলিপির ব্যবস্থাও করেছিলাম। নিজে হাতে সকলকে খাবার পরিবেশন করেছিলাম।”
এই গণবিবাহে নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিও এসেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন উর্বশী।