ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। অভিনয়ের পাশাপাশি উঠে আসছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। সেই সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের সম্পত্তি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। পরিবারের জন্য বিরাট সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু জীবনের শুরুতে প্রথম ছবির জন্য ১০০ টাকাও পাননি তিনি।
৬০ বছরের অভিনয়জীবনে ৩০০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর অভিনীত ‘শোলে’, ‘সীতা অউর গীতা’ ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কয়েক বছর আগে ‘রকি অউর রানি’ ছবিতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।
১৯৬০ সাল থেকে ধর্মেন্দ্রের অভিনয়সফর শুরু। ছবির নাম ছিল ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’। সেই সময়ে অভিনেতার বয়স ২৪-২৫ বছরের আশপাশে। প্রথম ছবিতেই প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। তবে আশানুরূপ সাফল্য পাননি। প্রথম ছবির পারিশ্রমিক নিয়েও কথা বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
সলমন খানের অনুষ্ঠান ‘দশ কা দম’-এ এসে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম ছবির চুক্তিতে সই করতে গিয়ে মাত্র ৫১ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। সেই ৫১ টাকা দিয়ে মদ কিনে বন্ধুদের খাইয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। নিজে মদ্যপান করার সময়ে মদের গ্লাসটি রুমাল দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন অভিনেতা। তিনি চাননি, গ্লাসে তাঁর আঙুলের ছাপ পড়ুক। হাসতে হাসতে নিজেই জানিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
প্রথম ছবিতে ৫১ টাকা পারিশ্রমিক পেলেও শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। শাহিদ কপূর ও কৃতি সেনন অভিনীত ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবিতে অভিনয় করে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন তিনি। এই দীর্ঘ সফরের নেপথ্যে ছিল বহু ওঠাপড়া।
ধর্মেন্দ্র মোট ৪৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন বলে জানা যায়। এই সম্পত্তির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লোনাভালায় তাঁর খামারবাড়ি। সেই বাড়ির ভিডিয়ো অনুরাগীদের সঙ্গে নিজেই ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। ১০০ একর জমিতে তৈরি এই খামারবাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, অ্যাকোয়াথেরাপি-র বিশেষ জায়গা এবং সবুজে ভরা বিরাট বাগান। এ ছাড়াও, মহারাষ্ট্রে অভিনেতার নিজের বাড়ি রয়েছে যার দাম ১৭ কোটি টাকা। চাষযোগ্য জমিতে ৮৮ লক্ষ টাকা এবং সাধারণ জমিতে ৫২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ধর্মেন্দ্রের। তা ছাড়াও ‘হি ম্যান’ ও ‘গরম ধরম ধাবা’ নামে দুটি রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর।