প্রয়াত অভিনেতা বিক্রম গোখলে। ছবি সংগৃহীত।
৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিক্রম গোখলে। শনিবার পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত সতেরো দিন ধরেই পুণের এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। বুধবার সকালে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তাঁর অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। মৃত্যুর গুজব ছড়ায় সে রাতেই। শোকপ্রকাশ করেছিলেন একাধিক তারকা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও বিক্রমের প্রয়াণের খবরে সিলমোহর দিয়েছিল। তবে সবটাই গুজব বলে দাবি করেছিল পরিবার। অভিনেতার স্ত্রী এবং কন্যা বুধবার রাতেই টুইট করে জানান, ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তাঁদের কাছের মানুষ। এতেই ফের বিভ্রান্তি ছড়ায়। তবে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সূত্রেই খবর মেলে, তখনও লড়ছেন বিক্রম।
শুক্রবারই আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। ভেন্টিলেশনের মাত্রা বাড়াতে হয়। আপ্রাণ চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা। তবে শেষরক্ষা হল না। শনিবার দুপুরে পরিবারের তরফে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয় অভিনেতার।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তাঁর মরদেহ আপাতত পুণের বালগন্ধর্ব সভাগৃহে রাখা হবে। সেখান থেকেই শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।
শুধু বিক্রমই নন, তাঁর পরিবারে অনেক সদস্যই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলে ছিলেন মরাঠি ছবি এবং থিয়েটারের অভিনেতা। তাঁর ঠাকুমাও ছিলেন অভিনেত্রী। বিক্রমও মরাঠি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় ছিলেন। বিক্রম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পুণেতে থাকতেন। সেখানে একটি অভিনয়ের স্কুলও চালাতেন তিনি।
১৯৭৬ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বিক্রম। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পরওয়ানা’ ছিল বিক্রমের প্রথম ছবি। বিক্রমকে দর্শক সম্প্রতি ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখেছেন। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং অভিমন্যু দাশানি। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় চলে আসেন বিক্রম। ‘দিল সে’, ‘ভুলভুলাইয়া’, ‘হিচকি’, ‘মিশন মঙ্গল’-সহ বিভিন্ন ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে রয়েছে। মরাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy