একদিকে ছেলে সমানে বলছে, “অত টক জল দিয়ে ফুচকা খেও না!” মায়ের ততই বায়না, “টক জল দিয়েই খাব। কিচ্ছু হবে না।” তার পরেই সালিশি মেনেছেন খোদ ফুচকাওয়ালাকে, “কি গো! তোমার টক জল দেওয়া ফুচকা খেলে শরীর খারাপ হবে?” ফুচকাওয়ালা প্রবল বেগে মাথা নাড়তেই মহা উৎসাহে ছেলেকেই ধমকে উঠেছেন, “তুই কলকাতার ছেলে হয়ে ফুচকা খাস না! জঘন্য একেবারে।”
রবিবার ভিক্টোরিয়ার সামনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাখি গুলজ়ার। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তাঁর ছবি ‘আমার বস’-এর প্রচারে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি ঝটিতি সফরে কলকাতা চষে ফেলেছেন ৭৭ বছরের ‘শর্মিলি’। শুধুই ফুচকা? দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত কাটলেট, মধ্য কলকাতার পুরনো রেস্তরাঁর চিনা খাবার— কিচ্ছু ছাড়েননি!
আরও পড়ুন:
ফুচকা খাওয়ার আগে ফুচকাওয়ালাকে আলু মাখার পদ্ধতিও শিখিয়েছেন। ছবির আরও এক অভিনেত্রী শ্রুতি দাস স্বচক্ষে তা দেখেছেন। আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন সে কথা। কতটা টক, কতটা নুন, ঝাল মেশাতে হবে আলুর পুর, টক জলে-- নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব বলে দিয়েছেন রাখি। তাঁর পদ্ধতিতে বানানো ফুচকার স্বাদ নাকি মুখে লেগে থাকার মতো!

জ়িনিয়া সেন, শ্রুতি দাসের সঙ্গে রাখি গুলজ়ার। ছবি: সংগৃহীত।
রাখি তাঁর থেকে ফুচকা খাচ্ছেন, আহ্লাদে আটখানা ফুচকাওয়ালাও। নিজে চেয়ে চেয়ে খেয়েছেন। চিত্রনাট্যকার জ়িনিয়া সেন-সহ সকলকে নিজে হাতে খাইয়েওছেন! শ্রুতির কথায়, “অবাক হয়ে দেখছিলাম রাখিদির আন্তরিকতা। ওঁকে অবাক হয়ে দেখছিলেন আশপাশের লোকজনও।” কিন্তু কেউ বিরক্ত করেননি ‘আমার বস’ টিমকে।
এ দিন ফুচকা খেতে খেতে ছবির সহ-অভিনেত্রী শ্রুতির নতুন নামকরণ করে ফেলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সে কথা ভাগ করে নিতে গিয়ে উৎফুল্ল শ্রুতি। বললেন, “ টিমের সকলের নামকরণ হয়ে গিয়েছে। কাঞ্চন মল্লিককে দিদি ‘চুকলিখোর’ ডাকেন। উমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নোলক’। আমি বায়না জুড়তেই দিদি প্রথমে বললেন, ‘তোমার সে রকম বৈশিষ্ট্য তো নজরে পড়ছে না!’” তার পর হাঁটু ছোঁয়া চুল দেখে রাখি বলে ওঠেন, “পুরো মা কালীর মতো! সারা পিঠে ছড়ানো। আজ থেকে তুই কালোকেশি।”