সম্প্রতি উদ্যোগপতি রাজ শামানির একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৯০০০ কোটির আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত মাল্য। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি ভারত ছেড়ে পালাননি। পূর্বনির্ধারিত কাজের জন্য দেশ ছাড়েন। যদিও ‘কিংফিশার এয়ারলাইন্স’-এর কর্ণধার বিজয়ের কর্মজীবনের পাশপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম উৎসাহ ছিল না দর্শকদের। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাড়ি থেকে নারীসঙ্গ— সব কিছু নিয়েই সংবাদ শিরোনামে থাকতেন তিনি। এ বার সামনে এল নয়া তথ্য। অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডির ‘কন্যাদান’ করেছিলেন এই বিজয় মাল্য!
আরও পড়ুন:
২০০২ সালে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ সমীরার। ‘ম্যায়নে দিল তুঝকো দিয়া’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক তাঁর। এই ছবিটি বলি অভিনেতা সোহেল খানের কেরিয়ারেরও প্রথম ছবি। সোহেল এবং সমীরার সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। ‘ডরনা মানা হ্যায়’, ‘প্ল্যান’ এবং ‘মুসাফির’ নামের তিনটি হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের পর তেলুগু ভাষার ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেন সমীরা। প্রথম তেলুগু ছবিতে দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যায় সমীরাকে। পর্দায় দুই তারকার সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের পছন্দ হয়। পাশাপাশি, হিন্দি ছবিতেও অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কেরিয়ারে সবেমাত্র সাফল্যের স্বাদ পেতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময়েই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন প্রভাব ফেলে পেশাগত জীবনে। শোনা যায়, জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরেই নিজেকে তেলুগু ছবির ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিয়ে নেন সমীরা। তার পর আকশাই ভার্দে নামে মুম্বইয়ের এক শিল্পোদ্যোগীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সমীরা। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। সেই বিয়েতে ইন্ডাস্ট্রির কেউই ছিলেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে বিয়েটা সারেন সমীরা। তাঁর বিয়েতে ‘কন্যদান’ করেন বিজয় মাল্য। একদা কিংফিশারের হয়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এ বার শোনা গেল, তাঁর বিয়েতে বাপের বাড়ির দিক থেকে উপস্থিত ছিলেন বিজয়। তাঁর মায়ের দিকের নাকি আত্মীয় হন এই শিল্পপতি। যদিও তাঁদের সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে খোলসা করেননি অভিনেত্রী। বিয়ের পর অভিনয় জগৎ থেকে পুরোপুরি সরে যান সমীরা। স্বামী এবং দুই সন্তানের সংসার নিয়েই বর্তমানে ব্যস্ত তিনি।