Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Kanchan Mullick

Bengal Polls: নেটাগরিকদের কটূক্তি কাঞ্চনকে, ‘রাজ-রুদ্রনীলের সঙ্গে বসে লুডো খেলুন’

আনন্দবাজার ডিজিটালকেও ইন্দ্রাশিস জানিয়েছিলেন, কারওর ক্ষতি করবেন এই ভাবনা থেকে পোস্টটি তিনি শেয়ার করেননি।

রুদ্রনীল-কাঞ্চন।

রুদ্রনীল-কাঞ্চন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১ ১৮:২১
Share: Save:

আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে মুখ খুলেই ফের ট্রোলড কাঞ্চন মল্লিক। জনৈক নেটাগরিকের কটূক্তি, কাঞ্চন নাকি ধান্দাবাজ, সুবিধেবাদী! তিনি কথা শুরুই করেছেন হুমকির সুরে, ‘এই কাঞ্চন মল্লিক আপনাকে বলছি। আপনি নাকি আজ বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন? দেবদূত ঘোষ, বাদশা মৈত্র, শ্রীলেখা মিত্রের নম্বরটা দিল না কেন! কারণ, ওঁরা আপনার মতো ধান্দাবাজ নয়’। তার পরেই তাঁর দাবি, শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সময় এঁরাই সবার পাশে ছিলেন আর দেবদূত বাদে বাকি ২ জন ভোটেও দাঁড়াননি। তাও তাঁরা মানুষের পাশে আছেন। এখানেই শেষ নয়। ওই নেটাগরিকের পরামর্শ, ‘রাজ চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে বসে লুডো খেলুন। এটা বিজেমূলের শোভা পায়!’

কী বলছেন উত্তরপাড়ার শাসকদলের প্রার্থী? সোমবার রাতে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তিনি জানান, এই একটি নয়, এ রকম কয়েক শো মেসেজ তাঁর মুঠো ফোনে এসেছে। শুধু নম্বর নয়, ছবি সহ সবার নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন তোলেন, এটা সঠিক পন্থা? তাঁর দাবি, অজানা নম্বর থেকে ফোনের পরে ফোন আসছে। হোয়াটসঅ্যাপ ঢুকছে তাঁর ফোনে। ফলে, বাধ্য হয়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবন যেমন এতে বিপর্যস্ত একই ভাবে কোনও গোপনীয়তাও থাকছে না। কাঞ্চনের আরও যুক্তি, তিনিও যদি একই ভাবে তাঁর চোখে অভিযুক্তদের মুঠোফোনের নম্বর নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন, কেমন হবে? সম্ভবত তখন তাঁরা বুঝতে পারবেন কতখানি হেনস্থা তাঁরা করলেন তাঁদেরই সহকর্মীদের।

মঙ্গলবার নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য। একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, ‘গতকাল নানা ঘটনা এবং খবরে মানসিক ভাবে বিক্ষিপ্ত এবং বিপর্যস্ত হয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। যাতে ঠিক মানুষের কাছে পৌঁছোনো যায় তার জন্য’। পরিচালকের কথায়, ফেসবুকে আগেই শেয়ার হওয়া একটি ছবি তিনি একই সঙ্গে শেয়ার করেন। সেখানে কিছু বিশিষ্ট মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগ নম্বর ছিল। তাঁর দাবি, এই পোস্টটি বেশ কিছুদিন ধরেই ফেসবুকে ঘুরছে। তাই তিনিও অন্যদের মতোই পোস্টটি শেয়ার করেছিলেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে মুছে দেন সেটি।

আনন্দবাজার ডিজিটালকেও ইন্দ্রাশিস জানিয়েছিলেন, কারওর ক্ষতি করবেন এই ভাবনা থেকে পোস্টটি তিনি শেয়ার করেননি। নেটমাধ্যমেও জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ তাঁর ছিল না। কারওর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর। এই পোস্টের কারণে যাঁরা হেনস্থা হয়েছেন তাঁদের সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী তিনি, ‘আমি সর্ব সমক্ষে সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এবং আন্তরিক দুঃখিত পুরো ঘটনার জন্য’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE