২০২৬-এর জানুয়ারিতে কী কী ছবি আসতে চলেছে? ২০২৫-এর অক্টোবরেই তা প্রকাশ্যে। বুধবার রাজ্য সরকার গঠিত ‘স্ক্রিনিং কমিটি’র এক বৈঠকে নতুন বছরের প্রথম মাসের তালিকা ঠিক হয়েছে। ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এবং ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস একযোগে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছেন ছবির তালিকা।
২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে তিনটি ছবি। ওই দিনও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল পাঁচটি ছবির। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা-মহেন্দ্র সোনির একটি, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’, রাজ চক্রবর্তীর ‘হোক কলরব’, অঙ্কুশ হাজরার ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ এবং ফিরদৌসুল হাসানের ‘কর্পূর’। টলিউডের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আলোচনার পর ২৩ জানুয়ারি ছবিমুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন ফিরদৌসুল এবং অঙ্কুশ।
পিছিয়ে গেল ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ এবং ‘কর্পূর’ ছবির মুক্তি। ছবি: ফেসবুক।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন ফিরদৌসুল এবং অঙ্কুশ। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘কর্পূর’ ছবির প্রযোজকের কথায়, “আমাদের ইচ্ছা ছিল, ২৩ জানুয়ারি ‘কর্পূর’ মুক্তি পাবে। যেহেতু ডিসেম্বরের দুটো ছবি পিছিয়ে ওই দিন মুক্তি পেতে চলেছে, তাই আলোচনাসাপেক্ষে ছবি পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘কর্পূর’ মুক্তি পাবে ৭ ফেব্রুয়ারি।” তিনি আরও জানান, ২০২৬-এর ছবির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ওই বছর ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন চারটি ছবি আনবে। ফেব্রুয়ারির পর তাদের আর একটি ছবি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা মার্চে। প্রযোজকের মতে, তিনি ‘স্ক্রিনিং কমিটি’তে থাকার কারণে বাংলা ছবির বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে তাই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। কেউ জোর করে তাঁর উপরে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেননি।
প্রায় একই কথা অঙ্কুশেরও। তিনি বলেছেন, “আমি নতুন প্রযোজক। মাত্র একটি ছবি ‘মির্জা’ মুক্তি পেয়েছে। এ বছর দুটো ছবি বানানোর ইচ্ছে। প্রযোজক হিসাবে বাকিদের থেকে আমার অভিজ্ঞতা খুবই কম। কিন্তু দীর্ঘ দিন বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে টলিউডের ভালর জন্য আমার উপরও দায় বর্তায়।” সেই জায়গা থেকে ছবিমুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনিও।
২০২৫ সালে পুজোর ছবিমুক্তি নিয়ে টলিউডের অভ্যন্তরীণ কাজিয়া প্রকাশ্যে। সেই সময়ে প্রেক্ষাগৃহের মালিক এবং পরিবেশকেরা জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে অনেক ছবি মুক্তি পেলে ছবির প্রদর্শন-সময়, ‘প্রাইম টাইম শো’ এবং প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে তাঁদের উপরে চাপ তৈরি হয়। এতে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার আখেরে ক্ষতি হচ্ছে। ওই দিনের বৈঠকে পিয়া-স্বরূপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নিসপাল সিং রানে, রানা সরকার, অঙ্কুশ হাজরা, সানি ঘোষ রায়-সহ অনেকেই। প্রত্যেকেই সম্মিলিত ভাবে জানিয়েছেন, বাংলা ছবির স্বার্থে উৎসবের মরসুমে তিনটির বেশি ছবি মুক্তি না দেওয়ার চেষ্টা থাকবে প্রত্যেকের।
এই প্রসঙ্গে ফিরদৌসুলের আরও বক্তব্য, “‘স্ক্রিনিং কমিটি’র বৈঠক অনুযায়ী, ছবি তৈরির তালিকা অনুসারে প্রযোজকেরা ‘প্রাইম টাইম শো’ পাবেন। যেমন, যিনি ছ’টি ছবি বানাবেন তিনি সম্ভবত চারটি ‘প্রাইম টাইম শো’ পাবেন। চারটি ছবির প্রযোজক দু’টি এবং দু’টি ছবির প্রযোজক পাবেন একটি ‘প্রাইম টাইম শো।’”