অঙ্কের চেনা ছক দায়িত্ব নিয়ে বদলে দিচ্ছেন! আগের ছবিতে তিনি ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’। তার পরেই ‘আশ্রম’ সিরিজ়ের নতুন পর্বে চূড়ান্ত উচ্ছৃঙ্খল! সেই চন্দন রায় সান্যাল অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘ডিয়ার মা’ ছবিতে জয়া আহসানের স্বামী। ছবির প্রচারে আনন্দবাজার ডট কমের অফিসে এসেছিলেন তিনি। কথায় কথায় জানালেন, “জয়ার সঙ্গে এই প্রথম কাজ। আলাপও ছিল না। অথচ, একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে হবে। পর্দায় আমরা স্বামী-স্ত্রী! অবস্থাটা ভাবুন।”
কী করে সবটা সামলালেন? “সবটাই টোনিদা (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) সামলালেন। দাদা আমাদের আলাপ করিয়ে দিলেন। রোজ শুটিং করতে করতে আড়ষ্টতা ভাঙল।” ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটের পর শুধু পরিচালক নন, তাঁদের রসায়ন দেখে ছবির চিত্রগ্রাহকও প্রশংসা করেছেন।
অঙ্কে স্নাতক চন্দন। সেখান থেকে অভিনয়! দুটো বিষয় সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর...
আরও পড়ুন:
অভিনেতা অবশ্য মানতে নারাজ। তিনি তখন মুম্বইয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে লড়ছেন। সারা দিন গণিতের গৃহশিক্ষকতা। মাসে হাজার তিনেক উপার্জন। পাশাপাশি, নাটক দেখতে যাওয়া, নিজের নাটকের প্রশিক্ষণ নেওয়া। “আমার বরাবর ‘ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস’ ভাল লাগে। নাটক করতে করতে দেখলাম, সেখানেও এই বিশেষ পদ্ধতি কাজ করে। এখানেও অঙ্ক কষে এগোতে হয়। নইলে ইঁদুরদৌড়ে টিকব কী করে? অঙ্ক আমায় এই বিষয়ে সাহায্য করেছে”, হাসতে হাসতে বললেন চন্দন। অঙ্ক মেনেই তিনি প্রতি বার নতুন চরিত্র বেছে নেন। তাঁর মতে, “ট্রাপিজ়ের খেলা দেখেছেন, উঁচু থেকে নিচুতে নেমে আবার উঁচুতে ওঠা? চরিত্রের ক্ষেত্রেও সেটাই পছন্দ করি। ‘নটী বিনোদিনী’র ‘শ্রীরামকৃষ্ণদেব’ থেকে ‘আশ্রম’ হয়ে জয়ার ‘স্বামী’। গ্রাফটা কিন্তু উঁচু-নিচু ভাবে চলছে।”
কিন্তু এই অঙ্কই যে আবার গোলমালেরও কারণ। দীপিকা পাড়ুকোন সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আট ঘণ্টার বেশি তিনি কাজ করবেন না, যা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিনোদন দুনিয়া। এক দলের দাবি, অনেক আগে বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়া উচিত ছিল। তবু দীপিকা বলেছেন। অন্য দলের দাবি, বিনোদন দুনিয়া আর পাঁচটা চাকরির মতো নয়। এখন প্রযুক্তিনির্ভর অফিসেও কাজের বাঁধাধরা সময় থাকে না। বিনোদন দুনিয়ায় তো আরওই সম্ভব নয়। তাই দীপিকার এই দাবি অন্যায্য। চন্দনও কি তা-ই মনে করেন? অভিনেতা দীপিকাকেই সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি শুনেছেন, পাশ্চাত্যের একাধিক দেশে তিনটি সময় মেয়েরা ছুটি পান। ঋতুস্রাবের সময়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে এবং সন্তান জন্মানোর পরে। এই রীতি সারাবিশ্বে চালু করা উচিত, দাবি তাঁর। “মেয়েদের অনেক ধকল পোহাতে হয়। ওঁদের একটু বেশিই আরামের প্রয়োজন”, বললেন অভিনেতা।