ছবির একটি দৃশ্যে সৌমিত্র ও অর্ঘ্য।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার পরেই আম-বাঙালির পাতে পড়বে ‘পোস্ত’। সৌজন্যে পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। সব গল্পেরই একটা শুরু থাকে। ‘পোস্ত’রও ছিল। নভেম্বরের এক শীত সকালে প্রথম স্ক্রিপ্ট শুনেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এ ছবির দীনেন লাহিড়ী। ‘পোস্ত’তে একটা সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য হিউম্যান ক্রাইসিস কী ভাবে রেজোলিউশনের দিকে এগোচ্ছে সেই জার্নিটা পছন্দ হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার। পরিচালকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সৌমিত্র বলেছিলেন, ‘‘তোমার ‘বেলাশেষে’র থেকে এটার স্ট্রাকচারাল কনস্ট্র্যাক্টটা আরও হিউম্যান। হিউম্যানিজিমটা খুব স্ট্রং এর মধ্যে।’’
আরও পড়ুন, ‘মা’ হয়ে কেমন লাগছে? শেয়ার করলেন মিমি
সৌমিত্রর সাজেশন ছিল, এই গল্পের যথার্থতা দর্শকের কাছে পৌঁছতে গেলে খুব ভাল অভিনেতাদের দরকার। পরাণ বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে সৌমিত্র বলেছিলেন, ‘‘বাংলায় এই মুহূর্তে ওঁর মত অভিনেতা আর নেই।’’
আরও পড়ুন, সাগরপাড়ের ‘পোস্ত’দের ‘উপস্থিতিতে’ ট্রেলার লঞ্চ
ছবির গল্পে আটপৌরে ছন্দ। ‘পোস্ত’, অর্থাত্ অর্ঘ্য বসু রায় থাকে তার দাদু-ঠাকুমার কাছে। চাকুরে বাবা-মা কলকাতা থেকে মাঝেমধ্যে আসেন। ‘পোস্ত’কে মিস করেন মা। ছেলে-বউকে নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চান ‘পোস্ত’র বাবা। ঠিক এখানেই সংঘাতের শুরু। ‘পোস্ত’র উপর কার অধিকার বেশি? বায়োলজিক্যাল বাবা-মায়ের নাকি ‘পোস্ত’কে গড়ে তোলার কারিগর দাদু-ঠাকুমার? লড়াই গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জবাব দেবে আগামী ১২ মে-র প্রেক্ষাগৃহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy