যন্ত্রণা ভোলার চেষ্টা করতে করতেই নতুন উপলব্ধি হয় ঐশ্বর্যার। — ফাইল চিত্র।
অভিনয় করতে গিয়ে তো অনেক বারই তাঁকে কাঁদতে হয়েছে চরিত্রের প্রয়োজনে, কিন্তু জীবনে এক বারই সত্যি সত্যি কেঁদেছিলেন অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সেই ঘটনার কথা।
পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন ঐশ্বর্যা, ক্লাসে বরাবরই প্রথম হতেন তিনি। তা নিয়ে প্রচ্ছন্ন গর্বও ছিল মনে। যখন তিনি দশম শ্রেণির আইসিএসসি বোর্ডের পরীক্ষা দেন, সকলেই মনে করেছিলেন, প্রথম হবেন তিনি। কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা যায়, তিনি অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন।
সেই প্রথম ব্যর্থতায় চোখে জল আসে ঐশ্বর্যার। পরেও কষ্ট পেয়েছেন যত বার তাঁর মনে পড়েছে। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমি ভাল ছাত্রী ছিলাম। ‘ভাল মেয়ে’, ‘পড়াশোনায় ভাল’ তকমাগুলো আমার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল। দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম হব, এটাই সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল অষ্টম স্থান পেয়েছি। খুব কষ্ট হয়েছিল। এর আগে অবধি প্রথম হওয়ার মূল্যটাই বুঝতে পারিনি।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “যদিও আমার পার্সেন্টেজ খারাপ ছিল না, তবু একটা তুচ্ছ ইগো কাজ করছিল মনে। অষ্টম হলেও অন্যদের সঙ্গে নম্বরের পার্থক্য ছিল মাত্র সামান্যই।”
যন্ত্রণা ভোলার চেষ্টা করতে করতেই নতুন উপলব্ধি হয় ঐশ্বর্যার। তাঁর কথায়, “বুঝলাম আমি অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য এত দিন বেঁচেছি, নিজের জন্য ভাবিনি। নিজের জন্য কোনও লক্ষ্য স্থির করিনি।” সেই প্রথম কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
পড়াশুনোয় ভাল হওয়া সত্ত্বেও ঐশ্বর্যা পরবর্তী কালে হয়েছিলেন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী। এর পর এসে পড়েন অভিনয় জগতে। বচ্চন পরিবারে পুত্রবধূ হিসাবে তাঁর নতুন সফর শুরু হয়। অভিষেক-জায়াকে শেষ বার পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০২২ সালে, ‘পোন্নিয়ান সেলভান ১’ ছবিতে। ছবির দ্বিতীয় ভাগের ট্রেলারও মুক্তি পেয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy