থালার খাবার পুরো শেষ না করেই উঠে যাচ্ছিলেন অভিষেক। কপালে জোটে বকুনি। তারকাপুত্র হলেই কি খাবার নষ্ট করার অধিকার জন্মায়? ছোটবেলাতেই ছেলেকে জরুরি শিক্ষা দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। গল্প শোনালেন তারকা ব্যবসায়ী, রেস্তরাঁর মালিক শেফ হরপাল সিংহ সোখী। সম্প্রতি, এক অনুষ্ঠানে এসে বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিয়ে নানা গল্প শোনালেন তিনি।
এত দিনের কর্মজীবনে হরপাল একাধিক তারকাকে কাছ থেকে দেখেছেন। অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর ছেলের বিয়ে থেকে মাধুরী দীক্ষিতের উত্থান, সবটাই তাঁর চোখের সামনে হয়েছে। তিনি বলেন, “গোটা বলিউডই প্রায় আসত আমার রেস্তরাঁয়।”
হরপাল যোগ করেন, “একটা গল্প বলি। আমাদের ভারতীয় খাবারের একটা রেস্তরাঁ ছিল, এবং সেখানে অমিতাভ প্রায়ই আসতেন। সঙ্গে আসতেন তাঁর স্ত্রী, অভিনেত্রী জয়া বচ্চন, ছেলে অভিষেক বচ্চন ও মেয়ে শ্বেতা বচ্চন। এখনও মনে আছে, যখন ওঁরা খেতে আসতেন, অভিষেকের থালায় যদি একটুও খাবার পড়ে থাকত, অমিতাভজি ছেলেকে বকুনি দিতেন। ধমকে বলতেন ‘অভিষেক! থালায় যা আছে সেটা শেষ করো। খাবার যেন শেষ হয়।’ ছেলের পেট ভরে গেলে পাল্টা বকুনি, ‘তা হলে খাবারটা নিলে কেন?’ এই ঘটনাটা পরিষ্কার মনে আছে আমার।”
ছোটবেলায় পুত্রকে কড়া শাসনে রাখলেও অভিষেকের সবচেয়ে বড় ‘চিয়ারলিডার’ও তাঁর বাবাই। আবার প্রয়োজনে ছেলের কাজের সমালোচনাও করেন তিনি। ‘সরকার’, ‘পা’, ‘বান্টি অউর বাবলি’র মতো বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা।