২৪ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ধর্মেন্দ্র। দীর্ঘ কর্মজীবনে কয়েক শো ছবিতে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩৩৫ থেকে ৪৫০ কোটি। অভিনেতার বিপুল সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোনাবালায় তাঁর খামারবাড়ি। ১০০ একর জমির উপরে তৈরি এই খামারবাড়িতে জীবনের শেষ দিকটা প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে থাকতেন অভিনেতা। এদিকে হেমা মালিনীর সঙ্গে নাকি সে ভাবে থাকেননি অভিনেতা। দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের জন্য রেখে গেলেন কত কোটির সম্পত্তি?
আরও পড়ুন:
হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র স্বামী-স্ত্রী হলেও থাকতেন আলাদা বাড়িতে। মাঝেমধ্যে অভিনেত্রীর বাড়িতে থাকতেন অভিনেতা। হেমাকে যখন ধর্মেন্দ্র বিয়ে করেন, সেই সময় প্রকাশের সঙ্গে দাম্পত্যে ছিলেন অভিনেতা। হেমা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি কখনও অভিনেতাকে তাঁর পূর্ব পরিবারের থেকে কেড়ে নিতে চাননি। অন্যের জীবনে অশান্তির কারণ হতে চাননি তিনি। হেমা মালিনী বহু বার বলেছেন, ‘‘ধর্মেন্দ্রের থেকে আমার টাকাপয়সা নয়, বরং শুধু ভালবাসাটুকু চাই। যদিও আমি আমার জীবনে সব প্রয়োজনে ওঁকে পেয়েছি।’’
ধর্মেন্দ্রের ছয় ছেলেমেয়ে। প্রথম পক্ষের চার সন্তান— সানি, ববি, অজেতা ও বিজয়েতা। হেমার তরফে তাঁর দুই কন্যা— ঈশা ও অহনা। তবে ধর্মেন্দ্রের জুহুর বাড়িতে থাকেন প্রথম পক্ষের ছেলে ও নাতিরা। অভিনেতার জুহুতে যে বাড়ি রয়েছে, তার দাম ১৭ কোটি টাকা। এ ছাড়াও চাষের যোগ্য জমিতে ৮৮ লক্ষ টাকা এবং সাধারণ জমিতে ৫২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে ধর্মেন্দ্রের। এক রেস্তরাঁ সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ব্যবসা করেছেন অভিনেতা। লোনাবালাতে ১২ একর জমিতে ৩০টি কটেজের একটি রিসর্ট রয়েছে তাঁর। প্রকৃতি বরাবর তাঁর খুব পছন্দের। তাই সবুজের মাঝে এই রিসর্ট তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়াও ‘হি ম্যান’ ও ‘গরম ধরম ধাবা’ নামে দুটি রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর। একটি প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে ধর্মেন্দ্রের মেয়ের নামে— ‘বিজয়েতা ফিল্মস্’। এই প্রযোজনা সংস্থার ছবি থেকেই দুই পুত্র সানি ও ববির সফর শুরু হয়েছিল।