প্রথম বিবাহ সুখ দেয়নি। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল শেফালি জ়ারিওয়ালাকে। মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগে সে কথা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সদ্যপ্রয়াত অভিনেত্রী। মাত্র ৪২-এ ঝরে যাওয়া শেফালি শারীরিক দিক থেকে অত্যাচারিত না হলেও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “মানসিক নির্যাতনও ভয়ঙ্কর। প্রথম বিয়ে আমায় মানসিক ভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।” অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যু সেই সাক্ষাৎকারকে নতুন করে চর্চায় ফিরিয়ে এনেছে।
‘মিত ব্রাদার্স’-এর জনপ্রিয় গায়ক জুটির অন্যতম হরমিত সিংহ। শেফালিও তখন মিউজ়িক ভিডিয়ো ‘কাঁটা লাগা’ করে রাতারাতি খ্যাতনামী। প্রথম আলাপ গড়িয়েছিল প্রেমে। ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় ২০০৪ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শেফালি-হরমিত। প্রয়াত অভিনেত্রী পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সেই বিয়ে সুখের ছিল না। তাঁর গায়ে কোনও দিন হাত তোলেননি হরমিত। কিন্তু মানসিক অত্যাচার করতেন। সহ্যের সীমা ছাড়ালে ২০০৯ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য তিনি। শেফালি বলেছিলেন, “ভাগ্যিস নিজে উপার্জন করতাম। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। আমার মতো অনেক নারীই এ ভাবে দিনের পর দিন মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেন। নিজের উপার্জন না থাকায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন না।”
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী এ প্রসঙ্গ সমাজের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর মতে, সমাজ কী বলবে, আশপাশের পরিচিতদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে— এই ভয় আচ্ছন্ন করে রাখে মেয়েদের। এমনকি উচ্চ শিক্ষিতেরাও বিচ্ছেদ মানতে পারেন না। বিবাহবিচ্ছিন্নাদের অন্য নজরে দেখা হয়। যে কারণে অনেকেই স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে দিনের পর দিন সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেন। তত দিনে ‘বিয়ে’ তাঁদের কাছে বোঝা হয়ে উঠেছে।
সেই সময় শেফালি সমস্ত নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর বিয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রথম বিয়ে ভাঙার পর জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিক ‘পবিত্র রিশতা’র অভিনেতা পরাগ ত্যাগীকে বিয়ে করেন। শোনা যায়, দ্বিতীয় বিয়েতে সুখী ছিলেন তিনি।