চলতি বছরের এপ্রিল। তাঁর পরিচালিত ধারাবাহিক ‘ভিডিয়ো বৌমা’র সাফল্য উদ্যাপনের পরে মদ্যপ ভিক্টো দাস গাড়ি নিয়ে সোজা ঢুকে পড়েছিলেন ঠাকুরপুকুরের জনবহুল এক বাজারে। গাড়ির ধাক্কায় জখম হন ছয় পথচারী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। খাস কলকাতার বুকে এই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল শহরবাসী। ধিক্কারে ফেটে পড়েছিলেন বাংলা ছোট পর্দার অভিনেতারা। পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে।
বুধবার লালবাজার সূত্রে আনন্দবাজার ডট কম জানতে পেরেছে, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি চাইছে রাজ্য প্রশাসনও। তাই চলতি মাসের শেষে আদালতে চার্জশিট পেশ করার চেষ্টা চলছে। এও জানা গিয়েছে, পুলিশ প্রথমে ৩০৪/বি ধারার ‘অনিচ্ছাকৃত খুন’-এর মামলা দায়ের করেছিল ভিক্টোর বিরুদ্ধে। পরে তার বদল ঘটিয়ে পুরো মামলা ৩০২ ধারায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, ভিক্টোর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। যার ন্যূনতম সাজা সাত বছর। প্রসঙ্গত, ভিক্টোর মামলাটি প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানার অধীনে ছিল। পরে লালবাজারের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট-এর হোমিসাইড বিভাগে হস্তান্তরিত হয়। ভিক্টোর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে বয়ান দিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন, চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। তাঁরা দুর্ঘটনার দিন ভিক্টোর সঙ্গে তাঁর গাড়িতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন:
তাঁদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার দিন, মদ্যপ অবস্থায় জোর করে চালকের আসনে বসেছিলেন ভিক্টো। তাঁরা ভিক্টোকে প্রথম থেকেই নাকি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত তাঁদের কথা শোনেননি। দুর্ঘটনার পরেও গাড়িতে ছিলেন শ্রিয়া। তিনিও মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করায় বেসামাল ছিলেন। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারছিলেন না! সেই সময়ের ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার ডট কম সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছিল সে রকমই দৃশ্য। দুর্ঘটনার দিন তাঁকেও আটক করেছিল ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। খবর, পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।