Advertisement
E-Paper

পুরী চারধামের একটি, দিঘার মন্দির ‘সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’! রথযাত্রায় সেখানে কেন যাব?: রুদ্রনীল

“প্রসাদ বলে যা বিতরণ হচ্ছে তা কি আদৌ মন্দিরের ভোগ? আমি তো জানি ওই খাবার মন্দিরের বাইরে অন্যত্র লোক দিয়ে বানানো হচ্ছে।”

রুদ্রনীল ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১৬:০২
দিঘা না পুরী, রথযাত্রায় কোথায় রুদ্রনীল?

দিঘা না পুরী, রথযাত্রায় কোথায় রুদ্রনীল? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

এ বছর রথযাত্রার ভিড় কোন দিকে? পুরী না দিঘা? এই নিয়ে নাকি শহরবাসী জোর আলোচনায় মেতেছে! আমি কোন দলে? মানে, পুরী যাব, না দিঘা— এই নিয়েও নাকি কৌতূহল। তারই উত্তর দিতে কলম ধরা। আমার যুক্তি, যাঁরা জানেন, চারধামের এক ধাম পুরী তাঁরা ওখানেই যাবেন। এই দলে আমিও। ব্যস্ততার কারণে জানি যাওয়া সম্ভব হবে না। তবু সুযোগ পেলে আমি পুরীতেই যাব। দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির দেখতে নয়।

এ বার প্রশ্ন, কেন যাব না দিঘায়? কারণ, রথযাত্রার দিন আমি বাকি বাঙালির মতোই পুণ্যার্থী। যাঁরা পুণ্য করতে চাইবেন, তাঁরা আমার মতো পুরীতেই যাবেন। তা হলে কি দিঘার মন্দিরে কেউ যাবেন না? অবশ্যই যাবেন। নতুন কিছু দেখার শখ সকলেরই থাকে। সেই ইচ্ছা নিয়ে অনেকে হয়তো দিঘাতেও যাবেন। আমি যাব না। কারণ, ওটি কোনও ধাম নয়। দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির হল একটি ‘সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’। কলকাতায় যাঁরা আসেন, তাঁরা বালিগঞ্জের বিড়লা মন্দির দেখতে ছোটেন। শহরবাসীও ঘুরেফিরে দেখতে যান। তার মানে কি পুরীর মতো সেটি একটি ধাম হয়ে গেল? দিঘার ব্যাপারটাও সেই রকম।

দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির নিয়ে আরও একটি বক্তব্য আছে। শুনেছি, মন্দিরের প্রসাদ নাকি কলকাতার বিশিষ্টদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। আমার এখনও সেই সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু জানি, এই প্রসাদ আদৌ জগন্নাথদেবের প্রসাদ নয়। ভোগ বা প্রসাদ কাকে বলে? হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, দেবতাকে যে অন্ন বা ভোগ উৎসর্গ করা হয়, সেই অন্ন পরে প্রসাদ হিসাবে দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। দিঘার মন্দিরের প্রসাদ কিন্তু অন্যত্র লোক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে! শুনেছি, এই ‘প্রসাদ’ নাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও বানানোর বরাত পেয়েছেন! আর এমনি মিষ্টিবিক্রেতারা যেমন তাঁদের দোকানে বানান তেমনই এই প্রসাদ বানাচ্ছেন।

এই সব দেখতে দেখতে মন কেমন করে। ছোটবেলাটা কী দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে! চারপাশটা বড্ড তাড়াতাড়ি যেন বদলে যাচ্ছে। আমাদের ছোটবেলায় রথযাত্রা মানেই রথ টানার পর পাঁপড়, তেলেভাজা। এখনকার বাচ্চারা কি সে সব খায় এখন? জানি না। তবে ওরা যখন রথ নিয়ে পথে নামে, আমি ব্যস্ততার কারণে হয়তো গাড়িতে। জানলার কাচ নামিয়ে দেখছি, ওরা রথ টানছে। কেউ বেশি জোরে টানতে গিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে উল্টেও ফেলছে। তার পরেই চোখে জল, বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া! দেখতে দেখতে কী যে লোভ হয়! টুক করে গাড়ি থেকে নেমে ওদের ভিড়ে মিশে যাই— ইচ্ছা জাগে। কিন্তু পারি কই?

Rudranil Ghosh puri digha Rath Yatra 2025
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy