বিজেপিতে অনেক দিন নেই। তার পর থেকে রাজনীতিতেই আর নেই রূপা রাই ভট্টাচার্য। তাঁর হাতে কাজও নেই! যে কারণে তিনি আর্থিক এবং মানসিক দিক থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সম্প্রতি, আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে এমনই অনুযোগ তাঁর।
দিন দুই আগে মুক্তি পেয়েছে প্রতীম ডি গুপ্তর ছবি ‘রান্নাবাটি’। তারই বিশেষ প্রদর্শনে আমন্ত্রিত ছিলেন রূপা। গত এপ্রিলে শেষ করেছেন পরিচালক অর্জুন দত্তের নতুন ছবি ‘বিবি পায়রা’র কাজ। কথায় কথায় তিনি বললেন, “ওটাই আমার শেষ কাজ। তার পর থেকে সিরিজ়, বড় বা ছোটপর্দা— কোথাও থেকে কোনও ডাক পাচ্ছি না!”
একদা পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার শাস্তি কি এখনও ভুগছেন রূপা? তাই কাজের অভাব?
প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। অভিনেত্রী বলেছেন, “সঠিক জবাব আমার কাছেও নেই। এটুকু বলতে পারি, টলিউডে যাতে আরও বেশি কাজ আসে, লগ্নি হয়, সেই আশায় আমি এবং আমার সমসাময়িক কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী বিরোধী দলে যোগ দিয়েছিলাম। আশা ছিল, ওরা আমাদের চাহিদা বুঝবে। সেটা না হওয়ায় আমি এবং বাকি অনেকেই বেরিয়ে আসি।” বাকিরা কিন্তু কাজ পাচ্ছেন। তিনি পাচ্ছেন না, এমনই উপলব্ধি তাঁর।
তাই প্রশ্ন তুলেছেন, “রাজনৈতিক কারণ হলে বাকিরাও কি কাজ পেতেন?”
রূপার সমসাময়িক রূপাঞ্জনা মিত্র। সম্প্রতি, শাসকদলে তাঁর ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটেছে। রূপাও কি এরকম কিছু ভাবছেন? নতুন বছরে বিধানসভা নির্বাচন।
অভিনেত্রী সপাট বলছেন, “ওটা কাজের ক্ষেত্রে হতে পারে। বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করব। তার জন্য কাজ চাইতেও লজ্জা নেই। কিন্তু রাজনীতির জন্য বিভিন্ন দলে ঘুরেবেড়ানোর পক্ষপাতী নই। রাজনীতিতে আর না।” তবে রূপাঞ্জনার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “রূপাঞ্জনা একদম সঠিক কাজ করেছে। বন্ধু হিসাবে ওর ভাবনাকে সমর্থন জানাই। বিজেপি নারীবিদ্বেষী সংগঠন। ওখানে নারীর কোনও সম্মান নেই! বাইরে থেকে আমরা তা বুঝতে পারিনি।”
আরও পড়ুন:
কয়েক মাস কোনও কাজ নেই। তা হলে দিন চলছে কী করে রূপার?
অভিনেত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, কোনও মতে চলে যাচ্ছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছেন, “বিয়ে করেছি। তাই অর্থনৈতিক দায়িত্ব ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে বলে রেহাই পেয়েছি। একা চলতে হলে কী করতাম জানি না।” অভিনেত্রী আপাতত এক জ্যোতিষশাস্ত্র চ্যানেলের সঞ্চালক। ওটাই তাঁর বর্তমান রুজি-রোজগার। হাসতে হাসতে বলেছেন, “তা বলে দিন ফেরাতে হাতভর্তি আংটি পরিনি। রত্ন কেনার সামর্থ্য নেই।” বরাবর ঈশ্বরে ভরসা। রূপার মতে, “হয়তো আমিও সঠিক জায়গায় বা সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছোতে পারছি না। তাই ব্যাটে-বলে হচ্ছে না। সময় এলে ঈশ্বর সব ব্যবস্থা করে দেবেন।”