কঙ্গনা রানাউত এতটুকু দুঃখিত নন সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য। তবে ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র প্রযোজক হওয়ার সুবাদে বিপাকে পড়েছেন একতা কপূর। এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত না হলেও পরোক্ষে এর প্রভাব পড়েছে সিদ্ধার্থ মলহোত্রের কেরিয়ারে। কঙ্গনা-একতা দ্বন্দ্বের জেরে সিদ্ধার্থের আগামী ছবি ‘জবরিয়া জোড়ি’ নাকি প্রচারের আলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এটাই ক্ষোভ অভিনেতার। তিনি মুখে কিছু না বললেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল এমন কথাই বলছে।
একতা কপূরের পছন্দের অভিনেতা বলেই সিদ্ধার্থ পরিচিত। তাঁর পরপর ছবি ব্যর্থ। তবু একতার প্রযোজনায় মুখ্য চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছে সিদ্ধার্থকে। ‘জবরিয়া জোড়ি’তে পরিণীতি চোপড়া তাঁর বিপরীতে। ছবির ট্রেলার ও টিজ়ার দর্শকের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। সিদ্ধার্থও এই ছবিটি নিয়ে একটু বেশি উৎসাহিত। কারণ এখনও অবধি তাঁকে শিক্ষিত-সম্ভ্রান্ত-কর্পোরেট চরিত্রেই বেশি দেখা গিয়েছে। সেই সব ছেড়ে একেবারে মাটির কাছের মানুষের চরিত্রে অবতীর্ণ হবেন নায়ক। এই ছবিতে তিনি বিহারি। লব্জ রপ্ত করার জন্য অনেক কসরতও করেছেন সিদ্ধার্থ। মাসের শেষে মুক্তি পাবে কঙ্গনার ছবি। তার এক সপ্তাহ পরেই আসবে সিদ্ধার্থের ছবি। তবে দু’টি ছবির প্রতি একতার ট্রিটমেন্ট সমান নয় বলে, ক্ষোভ জমেছে সিদ্ধার্থের মনে।
ছবিটি অনেক দিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মে মাসে মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল ‘জবরিয়া জোড়ি’র। তবে ‘জাজমেন্টাল...’-এর প্যাচওয়র্ক বাকি থাকায় ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে ‘সুপার থার্টি’র সঙ্গে কঙ্গনার ছবি একই দিনে মুক্তি পাবে বলে, আর এক প্রস্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই দু’বারই ‘জবরিয়া জোড়ি’র মুক্তিও পিছিয়ে যায়। কঙ্গনা-সাংবাদিক দ্বৈরথের ঘটনায় প্রচারের সব নজর ঘুরে গিয়েছে কঙ্গনার ছবিটির প্রতি। এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না সিদ্ধার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy