টলিউড আর রাজনীতি এখন যেন মিলেমিশে একাকার। এক দিকে যেমন টলিপাড়ার অভিনেতাদের অনেকে পর্দায় অভিনয় কমিয়ে যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে। অন্য দিকে, কিছু রাজনৈতিক নেতাকেও দেখা যাচ্ছে বড় পর্দায়। সম্প্রতি অভিনেত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে তিনি কোনও ছবি বা ওয়েব সিরিজ়ে সই করবেন না। বিজেপি নেত্রী হওয়ার পর বড় পর্দা থেকে বিদায় নিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। খড়্গপুরই নাকি এখন তাঁর সর্বস্ব। তা হলে তিনি কি আর ফিরবেন না পর্দায়? অভিনয়ে ফিরতে তাঁর কি সত্যিই ইচ্ছা করে না?
প্রশ্ন শুনেই অভিনেতার জবাব, “রাজনীতি তো কোনও অস্থায়ী কাজ নয়। যখন মনে হল করলাম, যখন মনে হল না করলাম না। এটা কি শপথ নেওয়ার সময় লেখা থাকে? তা ছাড়া, তৃণমূল সরকারের তরফে প্রযোজকদের কাছে নির্দেশ দেওয়া আছে যেন আমায় না নেওয়া হয়।” গত পাঁচ বছর কোনও সিনেমা দেখেননি হিরণ। তাঁর বাড়িতে নাকি টেলিভিশনও নেই। সিনেমা হলেও যাওয়া হয়নি। ফোনে যেটুকু পাওয়া যায় সেটুকুই দেখেন। হিরণ বললেন, “যিনি লেখক, তিনি লেখালেখি নিয়েই থাকেন। তাঁকে কি কেউ বলেন তিনি নাচ করবেন কি না, গান গাইবেন কি না? তেমনই রাজনীতিককেই বা এই প্রশ্ন করা হয় কেন? রাজনীতি ছাড়লে তখন কবিতা লিখব, গান গাইব, যেটা ইচ্ছা হবে সেটা করব। আর আমি মিস্ও করি না।”
আরও পড়ুন:
হিরণ কি কখনও রাজনীতি ছাড়বেন? তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “যে দিন ইচ্ছা হবে সে দিনই রাজনীতি ছেড়ে দেব।” ২০২৪ সালের নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পদ্মশিবির থেকে হিরণ দাড়িয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ দেবের বিপরীতে। হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ভোটে জিতে দেব এখন ঘাটালের সাংসদ। সেই সঙ্গে প্রযোজনা এবং অভিনয় দু’দিকই সমান তালে সামলাচ্ছেন তিনি। তবে এখন তিনি দেবের প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চান না।