শোলাঙ্কি রায় এবং রফিয়াদ রশিদ মিথিলা।
বুধবার থেকে দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘মন্টু পাইলট ২’-এর শ্যুট শুরু। ১৪ জানুয়ারি থেকে সেটে আসবেন সিরিজের অন্যতম অভিনেতা রফিয়াদ রশিদ মিথিলা। প্রথম সিজনে প্রশংসা কুড়িয়েছিল সৌরভ দাস আর শোলাঙ্কি রায়ের রসায়ন। নতুন রসায়নে মন্টু আছে। কিন্তু তার ভ্রমর নেই। সিরিজ বলছে, যদিও প্রথম পর্বেই ভ্রমর ওরফে শোলাঙ্কির মৃত্যু দেখানো হয়েছিল। তার পরেও টলিপাড়ার অন্দরে ফিসফাস! সংবাদমাধ্যমেও খবর, শোলাঙ্কি আপত্তি জানাতেই নাকি তাঁর জায়গায় এসেছেন সৃজিত-ঘরনি।
প্রকৃত ঘটনা কী? সৌরভ আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, টলিপাড়ায় ভুল খবর ছড়িয়েছে, শোলাঙ্কির জায়গায় মিথিলা আসছেন। একেবারেই তা নয়। মিথিলার জন্য সম্পূর্ণ নতুন চরিত্র তৈরি করেছেন দেবালয়। নতুন সিজনের গল্পও অন্য রকম। এখানেই নাকি মোচড়। এই বদলের আগে দিন তিনেকের জন্য নাকি শোলাঙ্কিকে দরকার ছিল পরিচালকের। আগের চরিত্রের সঙ্গে নতুন সিজনের যোগসূত্র তৈরির জন্য। খবর, শোলাঙ্কি রাজি হননি তাঁর ছবি এবং ধারাবাহিকের শ্যুটের কারণে। এবং প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সেই সংস্থাই নাকি তাঁকে তিন দিনের কাজের অনুমতি দেয়নি। এর পরেই নাকি সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যায় ভ্রমর চরিত্রটি। নতুন করে চিত্রনাট্য লিখতে হয় পরিচালককে।
তার পরেও শেষ চেষ্টা নাকি করা হয়েছিল। আগের ভ্রমর এবং নতুন চরিত্রের জন্য বাছা হয়েছিল কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতেও কাজ। ফলে, সময় দিতে পারেননি তিনিও। এর পর বাছা হয় হিন্দি ধারাবাহিক খ্যাত দেবলীনা চট্টোপাধ্যায়কে। তিনিও ধারাবাহিক, বিজ্ঞাপনী ছবি নিয়ে ব্যস্ত। ফলে, মুখ ফেরান তিনিও। নাম উঠে আসে অনুষা বিশ্বনাথনের। এ বার প্রযোজনা সংস্থাই নাকি বাতিল করে তাঁকে। কারণ, তিনি বয়সে ছোট। এবং চরিত্রের চেহারার সঙ্গে মিল নেই একেবারেই। তখনই দেবালয় বেছে নেন মিথিলাকে। সেখানেও বাধা করোনার। সিরিজের শ্যুট শুরুর কথা ছিল ২৬ ডিসেম্বর থেকে। মিথিলা, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরপর করোনা-আক্রান্ত। ফলে, তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে নতুন বছরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy