একদম নাকি বদলে গিয়েছেন ‘জুন আন্টি’! আগের মতো একটুও দুষ্টুমিতে মন নেই। শহর ছেড়ে, লোকালয় ছেড়ে মহীশূরে নির্জনে দিন কাটাচ্ছেন! সেখানে তাঁকে খালি পায়ে হাঁটতে হচ্ছে। যা খাচ্ছেন সব নিরামিষ। না দেখতে পান টেলিভিশন, সপ্তাহান্ত ছাড়া না হাতে পান মুঠোফোন!
শুধু কি তা-ই? কোনও বন্ধুবান্ধব নেই সেখানে। অচেনা লোকজনের মাঝে পড়ে আরও দুর্বিষহ দশা। যেখানে আছেন সেখানে নাকি কথা বলারও উপায় নেই।
তার উপরে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে যাবতীয় কাজ ঊষসীকেই করতে হচ্ছে। সময়ের একচুল এদিক-ওদিক মানেই কড়া বকুনি। এ সব সেরে রাত ৯টার মধ্যে ঘুমোতে যাচ্ছেন। ভোর হচ্ছে ৫টায়। যিনি হুল্লোড় ভালবাসেন, বন্ধুদের সঙ্গ পেলে দুনিয়া ভুলে যান, খেতে ভালবাসেন— তাঁর এ কী অবস্থা?
যোগাভ্যাসে ব্যস্ত ঊষসী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
‘জুন আন্টি’ কি ‘যোগিনী’ হয়ে গেলেন? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। “শ্রীময়ীর অভিশাপ লেগেছে”, পাল্টা রসিকতা তাঁর! “‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে এত জ্বালিয়েছি ওকে, যে এখন আমি জ্বলছি”, যোগ করলেন অভিনেত্রী। তার পর ফাঁস করেছেন রহস্য। শরীরচর্চা করতে ভালবাসেন ঊষসী। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা— যোগাভ্যাসে ফাঁকি নেই তাঁর। খবর, বিনোদন দুনিয়ার অনেকেই তাঁর কাছে তাই শরীরচর্চার অভ্যাস করতে চান। এ বিষয়ে নিজেকে আরও চৌকস করতে ঊষসী পৌঁছে গিয়েছেন মহীশূরের এক যোগাভ্যাস কেন্দ্রে।
লোকালয় থেকে অনেক দূরে প্রকৃতির মধ্যে এই কেন্দ্র। এখানে জীবন নিয়মের শৃঙ্খলে বাঁধা, জানালেন অভিনেত্রী। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যোগাভ্যাস-সহ নানা কাজ করতে করতেই কেটে যায় তাঁর। কেন্দ্রে বিদেশ থেকে আগত বহু শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এত নিরিবিলি, নির্জনতায় দিনের পর দিন থাকতে পারছেন? হাঁফিয়ে উঠছেন না?
আরও পড়ুন:
ঊষসী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অকপট। বললেন, “একমাসের জন্য যোগাভ্যাস করতে এসেছি। সারাক্ষণ কলরবের মধ্যে থাকা মানুষের এ রকম নির্জনতাও দরকার। এতে অন্তরের শুদ্ধি হয়। যাবতীয় নেতিবাচকতা সরে যায়।” পরক্ষণেই জানিয়েছেন, তা বলে মাসের পর মাসও তিনি থাকতে পারবেন না। অসম্ভব! তা হলে অভিনয়, বাকি কাজে দাঁড়ি পড়ে যাবে। তাই চলতি মাসের শেষে নিজের শহরে ফিরছেন তিনি। তার পর অভিনয় না যোগ প্রশিক্ষক? কোন ভূমিকায় তিনি? “যেমন ছিলাম তেমনই থাকব। কেবল শরীরচর্চায় হয়তো আরও একটু বেশি মন দেব,” বললেন ঊষসী।