যদি অভিনয়ে ফেরেন, এই ভাবনা থেকে চুল কাটতে পারছিলেন না! অবশেষে চুলে কাঁচি চালালেন তিতাস ভৌমিক। ধারাবাহিক ‘তোমায় আমায় মিলে’র ‘কাকলি’ কিংবা সুমন ঘোষের ‘জ্ঞানদানন্দিনী’— তিতাসকে এখনও এ ভাবেই মনে রেখেছে দর্শক।
সেই তিনিই বলছেন, “ভাগ্যিস আমি আর অভিনয়ে নেই।”
কেন অভিনয়ে অরুচি? সদ্য চুল কেটে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার তিনি। তবে বিষয়টি আর নতুন নয়। সাম্প্রতিক উদাহরণ, তিতাসের সহ-অভিনেতা ঋজু বিশ্বাস। সেই জন্যই কি তিতাসের এই বক্তব্য? সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, ঋজু ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়ে হেনস্থা করেছেন বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত বহু মহিলাকে। তিতাস অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁকে নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাই বা কেমন?
অভিনেত্রী একে একে জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “কটাক্ষের কারণে অভিনয় করব না, এমন নয়। প্রথমত, মা হওয়ার পর দেখলাম, সংসারের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছি। দ্বিতীয়ত, এমন চরিত্রও কেউ দেননি যা অভিনয়ের আগ্রহ জাগিয়ে তুলবে। ধারাবাহিকে সেই এক শাশুড়ি-বৌমার কূটকচালি। আমাকে খাবারে বিষ মেশাতে হবে— এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের আর ইচ্ছা নেই।” ঋজুকে নিয়ে তিতাসের বক্তব্য কিন্তু ইতিবাচক। তিনি সাফ বলেছেন, “ঋজু না থাকলে আমি প্রাণে বাঁচতাম না।”
ঋজু তখন ‘তোমায় আমায় মিলে’র নায়ক। তিতাস ধারাবাহিকে নায়কের বৌদি। অভিনেত্রীর কথায়, “একবার শুটিং করতে করতে প্রচণ্ড অ্যালার্জি। ওষুধ খেয়ে আমি বেহুঁশ। পরিচালক বলছেন, সুস্থ হয়ে তিতাস অভিনয় করবেন।” সেই সময়ে ঋজু তাঁর পর্দার ‘বৌদি’কে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কড়া জবাব দিয়েছিলেন ধারাবাহিকের পরিচালককে, “তিতাসকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। ও আজ শুটিং করবে না। বদলে আমি, রুশা সারা রাত শুটিং করছি।” অভিনেতা সে দিন পাশে না থাকলে একটু সুস্থ হলেই শুটিংয়ে যোগ দিতে হত তিতাসকে।
২০২৩-এ মা হয়েছেন অভিনেত্রী। তার পরেই তিনি একরত্তি কবীর এবং সংসারে সমর্পিতপ্রাণ! যিনি অভিনয় ছেড়ে থাকার কথা ভাবতে পারতেন না, সেই তিনিই চুল কেটে ফেললেন! অভিনয়ে আর ফিরবেন না? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিতাসের কণ্ঠে প্রচ্ছন্ন কৌতুক, “ছেলের বয়স দু’বছর। আমিও কলকাতায় নেই। দিল্লিতে আছি। দিনকয়েকের মধ্যে জয়পুরে চলে যাব। ফলে, অভিনয়ে ফিরে আসার কোনও সুযোগ আমি অন্তত দেখছি না।”
সেই জায়গা থেকেই তিনি ‘লুক’ বদলেছেন। সেই ছবি ভাগ করে যথারীতি কটাক্ষের শিকার। তিতাস হাসতে হাসতে বলেছেন, “যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা বলছেন, বেশ দেখাচ্ছে আমায়। অনেকে আবার আমি স্ত্রী না পুরুষ— সেটাই বুঝতে পারছেন না!”