ছুটি কাটাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন দেব-রুক্মিণী।
ছবি দেখে প্রশ্ন জাগাই স্বাভাবিক— ‘পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’
পথিক তার উত্তর দিয়েছেন। বরফে ঢাকা অন্তহীন পথ হাঁটছেন তিনি— ছবির পাশে এমনই মন্তব্য! মঙ্গলবার গোটা দেশ যখন ধনতেরস উদযাপনে ব্যস্ত, দেব তখন জনমানবহীন নিরুদ্দেশের যাত্রী!
আনন্দবাজার অনলাইন প্রথম জানিয়েছিল, ছুটি কাটাতে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন দেব। সঙ্গী রুক্মিণী মৈত্র। পর্দার ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ অধিকারী’র এক ঘনিষ্ঠ জনের কথায়, ২৮ অক্টোবর রাতে দেব তাঁর ‘দেবী’কে নিয়ে দুবাইয়ের বিমান ধরেন। সেখান থেকে পৌঁছে যান আইসল্যান্ডে। শনিবার থেকেই পরপর ছবি দেবের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে। এ ভাবেই যেন খবরে সত্যতার সিলমোহর দিয়েছেন ‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর। ইতিমধ্যেই সুমেরু প্রভা (অরোরা বোরিয়ালিস)-এর মতো দুর্লভ দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁদের। যদিও ছবির কোথাও রুক্মিণীর দেখা মেলেনি।
টলিউডে দেবের ১৫ বছরে রাজপাটে প্রতি পরতে চমক। ছবির প্রচার হোক বা নিজের অভিনীত চরিত্র— সব সময়েই কিছু না কিছু ব্যতিক্রমী ছাপ রেখে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন অভিনেতা। তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘গোলন্দাজ’। এ ছবিতে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভারতীয় ‘ফুটবলের জনক’ নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীকে। পর্দায় নগেন্দ্রর ভূমিকায় সাংসদ-তারকা সফল। অতিমারির মধ্যেও ভাল ব্যবসা করেছে এসভিএফ প্রযোজিত তাঁর এই পুজো-মুক্তি। অন্য দিকে, রুক্মিণী মৈত্রের প্রথম হিন্দি ছবি ‘সনক’ও দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসিত। ওটিটি-তে জাতীয় স্তরে এক নম্বর স্থানে রয়েছে ছবিটি।
সম্ভবত জোড়া সাফল্য উদযাপনেই এই একান্ত-যাপন যুগলের। তবে আইসল্যান্ড মানে শুধুই যে বরফে ঢাকা প্রান্তর নয়, সেটাও অনুরাগীদের দেখিয়েছেন দেব। চোখ জুড়ানো স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে তারকা। সেই ছবি জায়গা করে নিয়েছে তাঁর ফেসবুকে। যা দেখে প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি রসিকতার লোভ সামলাতে পারেননি। ‘জুড়ুয়া’ ছবির গানই তাঁর হাতিয়ার— ‘উঁচি হ্যায় বিল্ডিং’। রুক্মিণীও সুরসিকা। ছবিতে মুখ না দেখালেও জবাব দিতে ছাড়েননি— ‘দিল রজামন্দ হ্যায়!’
দেবের পোস্টে তাঁর ‘দেবী’র মন্তব্যের পাশে জ্বলজ্বল করছে চোখের ইশারার ইমোজি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy