Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Srijit Mukherjee

X=Prem: প্রেমিক সৃজিত কেমন? সাদা-কালোয় সে ছবিই আঁকা ‘X=প্রেম’-এ

নিজের প্রেমজীবন নিয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করলেন পরিচালক।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২২ ১৬:৪২
Share: Save:

সৃজিত মুখোপাধ্যায় ক’টা প্রেম করেছেন? পরিচালক যখন প্রেমিক, তখন তিনি কেমন?

বহু বার এই জায়গা ছুঁতে চেয়েছেন সাংবাদিকেরা। সৃজিত নিজেই নিজের ‘ঢাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সেই সৃজিত চাইছেন, তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হোক! চর্চা হলে তিনি খুশিই হবেন। হঠাৎ পরিবর্তন? কারণ, তাঁর আগামী ছবি ‘X=প্রেম’। এত দিন টলিউডে গুঞ্জন ছিল, ছবিটি নাকি সৃজিতের প্রেমগাথা। সোমবার সন্ধেয় আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ছবির পরিচালকের অকপট স্বীকারোক্তি, নানা বয়সে, নানা ভাবে প্রেম এসেছে তাঁর জীবনে। কখনও নীরবে, কখনও সোচ্চারে। তারই যেন জলছবি তাঁর আগামী ছবি।

ছবি জুড়ে কি তা হলে শুধুই পরিচালকের প্রেমবেলা? সৃজিতের সহজ ব্যাখ্যা, ‘‘কলেজবেলার প্রেম নিয়ে ছবি বানাচ্ছি। প্রেমের গল্প বলছি। তা হলে তো আমার প্রেমজীবনই উপজীব্য হবে। সেখানে অন্য কারওর প্রেমের গল্পের কথা কোনও ভাবেই উঠবে না।’’ এত দিনের আড়াল অবশেষে সরল? পরিচালকের যুক্তি, ‘ভিঞ্চিদা’, ‘গুমনামী’ বা ‘কাকাবাবু’ নিয়ে আলোচনার সময় তাঁর প্রেমের কথা উঠলে তিনি আপত্তি জানাবেনই। একই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, ‘X=প্রেম’ ছবিতে তাঁর প্রেমের প্রায় ৯৫ শতাংশ জায়গা করে নিয়েছে।পাশাপাশি, তাঁর বন্ধু, কাছের জনদের প্রেমও চিত্রনাট্যে জায়গা করে নিয়েছে অনায়াসে। বাকি ৫ শতাংশে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি। যে বিশেষ পদ্ধতি বলে, এক জনের স্মৃতি অন্যের মস্তিষ্কে বুনে দেওয়া যায়।

যদি সত্যিই এই অসম্ভব সম্ভব হয় তা হলে প্রেম, প্রাক্তন প্রেম, সম্পর্ক, স্মৃতি, বর্তমান প্রেম ইত্যাদি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে। সৃজিত সেই জায়গাই ছুঁতে চলেছেন। ছবির ঝলক দেখে ইতিমধ্যেই অনেকে পরিচালককে প্রশ্ন করেছেন, আপনি ছবির অন্যতম দুই চরিত্র ‘অর্জুন’ না ‘অনিন্দ্য’? জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালকের দাবি, ‘‘শুধু ‘অর্জুন’ বা ‘অনিন্দ্য’ তো নইই, আমি কিছু ক্ষেত্রে ‘জয়ী’। কিছু ক্ষেত্রে ‘অদিতি’ও। বাস্তবেও আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করি।’’ তার উদাহরণও দিয়েছেন তিনি। কলেজে প্রথম এবং তৃতীয় বর্ষে তিনি হয়তো ছবির ‘অনিন্দ্য’র মতো ছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষে সেই তিনিই ‘অর্জুন’! উচ্চমাধ্যমিকের সৃজিতের মধ্যে ‘জয়ী’র প্রভাব বেশি। চাকরির সময় তাঁর মধ্যে ‘অদিতি’র ভাব প্রবল।

সৃজিতের ছবির প্রেম কি তা হলে খুব জটিল? পরিচালকের মতে, ‘জটিল’ শব্দটাই ভীষণ আপেক্ষিক। পাশাপাশি তাঁর এও মত, যুগে যুগে প্রেম নিয়ে কতই না বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। কত কবি পাতার পর পাতা কবিতা লিখে গিয়েছেন। ফলে, মান-অভিমান, তাকানো-মুখ ফেরানো, স্বীকার বা অস্বীকার করা কিংবা অস্বীকার করতে না পারা যে কিসের ইঙ্গিত— সবটাই সবাই বোঝেন। তাঁরা জানেন, ‘X=আসলে কী?’ রসিকতার ছলে এও জানাতে ভোলেননি, তাঁর প্রেমজীবন থেকে চিত্রনাট্য তৈরি। বুদ্ধিমানেরা এর থেকেই যা বোঝার বুঝে নেবেন। হয়তো এমনও হতে পারে, ছবি দেখে ফোনের পরে ফোন করবেন ‘প্রাক্তন’রা। ছবিতে কতটা, কী ভাবে প্রকাশিত পরিচালকের প্রেম? সৃজিতের কথায়, সেটা না হয় প্রেক্ষাগৃহের জন্যই তোলা থাক!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE